বিএনপি-জামায়তের কাছে গণতন্ত্র শুধু মুখের কথা, অন্তরে কুটিলতা ও বিষবাষ্প বলে মন্তব্য করেছেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।
‘মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তা ও সৈনিক হত্যা দিবসে’ মঙ্গলবার বিকালে জেলা পরিষদ মার্কেট চত্বরে নগর আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি বিএনপি ও জামায়াতের উদ্দেশে বলেন, “বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না। আপনাদের জন্ম আজন্মের পাপ। গণতন্ত্র আপনাদের মুখের কথা, অন্তরে কুটিলতা ও বিষবাষ্প।
“আপনারা দু-চারটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে এবং পুলিশ হত্যা করে যে হিংসাত্মক অপরাজনীতি করছেন, এর দায় অবশ্যই বহন করতে হবে। দেশের প্রধান বিচারপতি যিনি যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন এবং তা কার্যকরও হয়েছে, তার প্রতিশোধ নিতেই বিএনপি-জামায়াত পরিকল্পিতভাবে অবরোধ ও সমাবেশের নামে তার বাসভবনে প্রকাশ্যে হামলা চালিয়েছে।”
নাছির বলেন, “এর জন্য তাদের কোনো অনুশোচনা নেই। মধ্যপ্রাচ্যে পবিত্র ফিলিস্তিন ভূমিতে মার্কিনী মদদে ইসরায়েলি বাহিনী যে গণহত্যা চালাচ্ছে, সে ব্যাপারে বিএনপি নিশ্চুপ ও নীরব ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
“এর কারণ তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য দাসখত দিয়েছে। ইসরায়েলি হামলার নিন্দা করলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অখুশি হবে, এই জন্যই বিএনপির এই রহস্যময় নীরবতা।”
অযৌক্তিক অবরোধ ও হরতালের নামে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদহানি হলে জনগণকে নিয়ে তা প্রতিরোধ করা হবে বলে ঘোষণা দিয়ে সাবেক মেয়র নাছির বলেন, “আগামীকাল থেকে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ১৯টি পয়েন্টে মহানগর আওয়ামী লীগ অবস্থান নেবে।”
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “জিয়াউর রহমান অন্তর থেকে নয়, বাধ্য হয়েই মুক্তিযোদ্ধা হয়েছিলেন। সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাসে চট্টগ্রাম বন্দরের শ্রমিক-জনতা যখন আত্মাহুতি দিচ্ছিলেন তখন হানাদার বাহিনীর পক্ষে সেই অস্ত্র খালাসে তিনি এগিয়ে গিয়েছিলেন।
“মাঝপথে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদস্থ বাদামতলী মোড়ে বীর জনতার প্রতিরোধের মুখে তিনি ষোলশহরে ফেরত আসেন এবং সেখান থেকে কড়লডেঙ্গায় গিয়ে আশ্রয় নেন। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত। ৩ নভেম্বর জেলহত্যার সময়ও তার প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল।”
মাহতাব বলেন, “৭ নভেম্বর ভোরবেলায় মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তা, সৈনিক হত্যার সময়ও জিয়া নেপথ্যের প্রধান কুশীলব ছিলেন। এই জিয়াউর রহমান মনেপ্রাণে পাকিস্তানি ভাবধারায় বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধ করলেও পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর অনুচর ছিলেন।”
নগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সহসভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুছ, নগর কমিটির সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল ও আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, উপদেষ্টা শফর আলী ও শেখ মাহমুদ ইছহাক, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শফিক আদনান, হাসান মাহমুদ শমসের, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, মো. হোসেন প্রমুখ।