Published : 04 Jan 2024, 11:11 PM
বিএনপিবহীন ভোটে নৌকার বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতাদেরই স্বতন্ত্র দাঁড়িয়ে যাওয়া চট্টগ্রামেও কৌতুহলের প্রাথমিক পর্যায় ছাড়িয়ে কিছু আসনে নির্বাচনি উত্তাপ তৈরি করেছে; শেষ সময়ের প্রচারে অন্তত চার আসনে তা উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
এসব আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর থেকেই শুরু হওয়া ভোটের লড়াই প্রচারের সময় যত গড়িয়েছে ততই গণ্ডগোলের আবহ তৈরি হয়েছে; কোথাও কোথাও তা সংঘাতেও রূপ নিয়েছে।
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের তিন দিন আগে নৌকা ও স্বতন্ত্রের ছাড় না দেওয়ার এমন মুখোমুখি অবস্থানে অন্তত চারটি আসনে নজর সবার; যা নিয়ে ‘চিন্তিত’ প্রশাসনও।
গত কয়েকদিনের ভোটের খবরে পাল্টাপাল্টি অভিযোগে খবরেও উঠে এসেছে চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ), চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া), চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) ও চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের এসব প্রার্থীদের নির্বাচনি কর্মকাণ্ড। এসব আসনে আওয়ামী লীগের চারজনসহ দলের স্বতন্ত্র ও অন্যান্য দল মিলিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন মোট ৩৪ প্রার্থী।
তবে আলোচনায় মূলত নৌকা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র হওয়া প্রার্থীরা, যাদের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে; পুলিশ ও প্রার্থীদের পক্ষ থেকে চার আসনে মামলা হয়েছে এ পর্যন্ত ১৪টি, গ্রেপ্তারও হয়েছেন অনেকে। প্রতিদ্বন্দ্বিতার তোড়ে অনেক স্থানেই আচরণবিধি মানার বালাই নেই।
চট্টগ্রামের এ আসনগুলোতে সহিংসতার বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চট্টগ্রামের ডিসি আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, “আমাদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে কিছু না কিছু উত্তেজনা থাকে। সন্দ্বীপ ও মীরসরাইয়ে কিছু ঘটনা ঘটেছে এবং পটিয়া, সাতকানিয়া, লোহাগাড়ায় ঘটেছে। দোষীদের আমরা গ্রেপ্তার করেছি।
“যদি নির্বাচন পর্যন্ত এ ধরনের ঘটনা চলমান থাকে, তাহলে অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট, বিজিবি ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে। কোনোভাবেই কেউ নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারবে না এবং সে ধরনের কিছু করতে দেওয়া হবে না।”
এ ধরনের ঘটনা চলমান থাকলে তা ভোটার উপস্থিতিতে প্রভাব ফেলবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচনে কোন সমস্যা হবে না। ভোটের দিন যখন মানুষ দেখবে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ চলছে, তখন ভোটাররা ভোট দিতে আসবে।
চট্টগ্রাম-৩: মিতার হ্যাট্রিক না কি জামালের প্রথম
সন্দ্বীপ উপজেলা নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম-৩ আসনে প্রার্থী আটজন হলেও লড়াই হবে ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগেরই দুই পুরনো প্রতিযোগী নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা ও ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরীর মধ্যেই বলে স্থানীয়দের ভাষ্য। স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাল উদ্দিন আওয়ামীপন্থি চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক ফোরামের (স্বাচিপ) সভাপতি।
দুই পক্ষই সমান সক্রিয় থাকায় প্রচারে সংঘাতও হয়েছে, পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যে মামলা হয়েছে চারটি।
দুই জনের মধ্যে ভোটের লড়াই আগেও হয়েছে। ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন চিকিৎসক নেতা জামাল। মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন মাহফুজুর রহমান মিতা। সেবার দুইজনের ভোট কাটাকাটিতে জয় পান বিএনপির মোস্তফা কামাল পাশা।
পরের দুই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জামালের পরিবর্তে মনোনয়ন দেয় মিতাকে। দুই নির্বাচনেই তিনি জয়ী হন।এবারও আওয়ামী লীগ মিতাকে মনোনয়ন দিলে বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন জামাল।
এবার জিতলে মিতার হ্যাট্রিক হবে। আর স্বতন্ত্র হয়ে ভোট করার সুযোগ পেয়ে পরাজয়ের গণ্ডি ভাঙতে চান ডা. জামাল। জয়ী হতে চষে বেড়াচ্ছেন এলাকার পর এলাকা, প্রচারণায় পাশে পাচ্ছেন বিভিন্ন চিকিৎসকদেরও। দলের একটি অংশের সমর্থনও পাচ্ছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, দুই লাখ ৪১ হাজার ৯১৪ ভোটারের দ্বীপ উপজেলাটির রাজনীতিতে সব সময় বেশি প্রভাব রাখে উত্তর সন্দ্বীপের বাসিন্দারা। আগের সব জনপ্রতিনিধিই তাদের। দক্ষিণ সন্দ্বীপের বাসিন্দারা চায় তাদের একজন জনপ্রতিনিধি আসুক। এটি এবার এগিয়ে রাখছে দক্ষিণ সন্দ্বীপের বাসিন্দা জামালকে।
তবে উত্তর সন্দ্বীপের টানা দুইবারের বিজয়ী মিতাকে হারাতে বেগ পেতে হবে তার। কেননা নৌকার সঙ্গে রয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা।
মিতার নির্বাচনি সমন্বয়ক ও সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিন বেদন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সাধারণ মানুষ দুইটা বিষয় চায়। তার একটি উন্নয়ন, অপরটি নিরাপত্তা। বিগত ১০ বছরে সন্দ্বীপে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। মানুষ নিরাপদে জীবনযাপন করছে। কোনো মানুষকে ব্যবসা বাণিজ্য করতে চাঁদা দিতে হয় না। তাই মানুষ নৌকার পক্ষে।
তার সন্দ্বীপ আওয়ামী লীগে বিভক্তি নেই, সবাই নৌকার পক্ষে। এমনকি ১৫টি ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের মধ্যে একজন ছাড়া সবাই আছে নৌকার পক্ষে বলে দাবি তার।
অপরদিকে জামালের পক্ষে আছেন সাবেক উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের অধিকাংশই। তাদের অন্যতম সাবেক পৌর মেয়র জাফর উল্লাহ টিটু। জামালের পক্ষে নির্বাচন পরিচালনা করছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম।
টিটু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নেত্রী সুযোগ দিয়েছেন যোগ্য লোকের পক্ষে থাকতে। আমার কাছে মনে হয়েছে ডা. জামাল যোগ্য লোক। তার জন্ম সন্দ্বীপে, এ দ্বীপ উপজেলার জন্য তার মায়া আছে। আমাদের মনে হয়েছে তার দ্বারা সন্দ্বীপের স্বার্থ রক্ষা হবে। তাই যোগ্য লোকের পক্ষে আছি।
সাবেক এই পৌর মেয়রের অভিযোগ, নৌকার প্রার্থী ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। ১০ বছর ধরে কাউকে রাজনীতি করার সুযোগ দেয়নি। নিজস্ব একটি বলয় তৈরি করেছেন।
চট্টগ্রাম-১২: নৌকাকে জেতাতে মরিয়া মোতাহের, সামশুল চান চতুর্থ জয়
দুই প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের মুখোমুখি অবস্থান ও সংঘাতে ভোটের উত্তাপ উত্তেজনা ছড়িয়েছে চট্টগ্রাম-১২ আসনে। পটিয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনের টানা তিনবারের সংসদ সদস্য হুইপ সামশুল হক চৌধুরী। দল তার বদলে প্রার্থী করেছে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীকে। মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন শামসুল।
গত ১৮ ডিসেম্বর নির্বাচনি প্রচার শুরুর পর থেকে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে অন্তত ২০ বার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় মামলা হয়েছে পাঁচটি। গ্রেপ্তার করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে।
সর্বশেষ গত ৩০ ডিসেম্বর পটিয়ার কুসুমপুরা এলাকায় সামশুলের নির্বাচনি প্রচারণায় দুই দফায় হামলার ঘটনা ঘটে। হুইপের ছোট বোন সুলতানা ইয়াসমিন রেখাসহ আহত হন চারজন।
তিন লাখ ২৯ হাজার ৪২৮ জন ভোটারের এ আসনে দুই প্রার্থীই প্রচারে ব্যস্ত। নিজেদের প্রতিশ্রুতি ও একে অপরের বিরুদ্ধে নানান কথা বলে চেষ্টায় আছেন ভোটারদের দৃষ্টি কাড়তে।
চট্টগ্রাম-১৫: নদভীর জয় থামাবেন মোতালেব?
বছর দুই আগে এ আসনের অন্তর্ভুক্ত সাতকানিয়ার দুটি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে অস্ত্র নিয়ে আধিপত্যের চেষ্টা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, প্রাণ যায় দুইজনের। এ কারণে বেশি নজরদারিতে আছে লোহাগাড়া ও সাতকানিয়ার একাংশের চট্টগ্রাম-১৫ আসনটি, যা জামায়াতে ইসলামীর দুর্গ বলেই পরিচিত।
এ আসনে সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর জয়রথ থামে ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে জামায়াত ত্যাগী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভীকে বেছে নিলে। পরপর দুইবার এ আসন থেকে নদভী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও স্থানীয় আওয়ামী লীগের অনেকেই মেনে নিতে পারেননি তাকে।
এবার দলের প্রার্থীর স্বতন্ত্রের সুযোগ থাকায় উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে নির্বাচনে আসা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ মোতালেব আর বসে যাননি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন নগভীকে।
চার লাখ ৫৮ হাজার ৪১১ জন ভোটারের সমর্থনের আশায় প্রচারে দুই পক্ষের হার না মানার দৃঢ়তা বেশ কিছু সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনা দেখে ফেলেছেন স্থানীয়রা। পাল্টাপাল্টি তিনটি মামলাও হয়েছে সাতকানিয়া থানায়।
মোট ১৫৭টি ভোটকেন্দ্রের এ আসনে সাতকানিয়ার ৯০টির মধ্যে ৫৫টি এবং লোহাগাড়া ৬৭টি কেন্দ্রের সবগুলোকেই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে শান্তিপূর্ণ ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
নদভীর নির্বাচনি সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন সাতকানিয়ার ৩ নম্বর নলুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী।
তিনি বলেন, আমরা মাঠ জরিপে এগিয়ে আছি। গত ১০ বছরে সাতকানিয়ায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে, কোন ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতা হয়নি। মানুষ শান্তিতে ছিল। তাই আমাদের বিশ্বাস আছে জনগণ নৌকায় ভোট দেবে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নদভীর সঙ্গে নেই, স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষের লোকজনের এমন দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যেহেতু সবাইকে নির্বাচন করতে বলেছেন তাই নেতাকর্মীদের সবাই দ্বিধায়। কারণ দুই জনই আওয়ামী লীগ। জনগণ আমাদের পক্ষে আছে। উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগের বেশির ভাগ আমাদের পক্ষে আছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মোতালেবের নির্বাচনি সমন্বয়ক স্বাধীনতা চিকিৎসক ফোরামের (স্বাচিপ) কেন্দ্রীয় নেতা মিনহাজুল ইসলাম বলেন, সাতাকানিয়া উপজেলা ও পৌরসভা, লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বড় একটি অংশ মোতালেবের হয়ে কাজ করছেন।
তার দাবি, এ দুই উপজেলার ২০টি ইউনিয়নের মধ্যে সাতকানিয়ার আটজন ও লোহাগাড়ার পাঁচজন চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। তাছাড়া সাতকানিয়ার পৌরমেয়র, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যানও তার পক্ষে আছেন।
এমএ মোতালেবের জয়ের বিষয়ে আশাবাদী মিনহাজুর বলেন, এলাকার মানুষ সংসদ সদস্য ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর ক্ষুব্ধ। জনগণ সেটি ব্যালেটের মাধ্যমে প্রকাশ করবে।
চট্টগ্রাম-১৬: মোস্তাফিজুরের আধিপত্য ভাঙতে পারবেন মজিবুর
বাঁশখালী নিয়ে গঠিত এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ভোটের ডামাডোলের শুরু থেকেই আলোচনায়। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিনই তিনি আলাদাভাবে খবরে উঠে আসেন, সাংবাদিক হয়রানির অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এরপর থানার ওসিকে হুমকি দিয়ে পড়েছেন আচরণবিধি ভাঙার মামলায়।
এমন বিতর্কের মধ্যেই ৩ লাখ ৭০ হাজার ৭৭৮ জন ভোটারের চট্টগ্রাম-১৬ আসনটি নিজের করে রাখতে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে রয়েছেন ভোটের মাঠে। সেখানেও প্রতিপক্ষের সঙ্গে সংঘাতে জড়ানোর ঘটনা ঘটেছে।
প্রতিদ্বন্দ্বী মজিবুর রহমানও থেমে নেই। তার কর্মী-সমর্থকরাও আছেন শক্ত অবস্থানে। যে কারণে দুই পক্ষের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে, পাল্টাপাল্টি মামলা করেছে থানায়।
নানা কারণে ‘বিতর্কিত’ হয়েও দলের মনোনয়ন ধরে রেখেছেন মোস্তাফিজুর। আর শিল্পপতি মজিবুর দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে ভোটের ক্ষেত্র তৈরি করেছেন। এবার দলের মনোনয়ন না পেয়ে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মজিবুর স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়ছেন। মোট প্রার্থী ১০ তাদের মধ্যেই লড়াই সীমাবদ্ধ থাকবে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।
ভোটকেন্দ্র থাকবে নিরাপদ: পুলিশ
চট্টগ্রাম জেলার আলোচিত এসব আসনে কেন্দ্র দখল, জোর করে গোপন কক্ষে গিয়ে ভোট দেয়া এবং সহিংসতা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে ভোটারদের। তবে পুলিশ কর্মকর্তারাও প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। অতীত অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ভৌগলিক অবস্থান এবং ‘প্রভাবশালী প্রার্থীর’ বাসাবাড়ি বিবেচনায় নিয়ে এসব আসনের ‘গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত কেন্দ্রে থাকবে তাদের বাড়তি নজর।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা বলেন, আগের চেয়ে এবার অনেক বেশি প্রস্তুতি থাকবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর। তাছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে বিজিবি, আনসার কোস্ট গার্ড থাকবে। এর বাইরে নির্বাচন কমিশন সেনা বাহিনী মোতায়েন করেছে। উপজেলা পর্যন্ত তারা স্ট্যান্ডবাই থাকবে। যেকোন সময় তারা রিটার্নিং কর্মকর্তার কলে রেসপন্স করবে।
“সব মিলিয়ে যেখানে কেন্দ্রই ‘নিরাপদ’ সেখানে অবাঞ্চিত লোকজন প্রবেশের কোন প্রশ্নই আসে না। আমি মনে করে কোন ধরনের কারচুপি হবার সুযোগ নাই।”