শুল্ক ফাঁকির মামলায় দুই আমদানিকারক কারাগারে

বিচারক তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Oct 2022, 02:35 PM
Updated : 2 Oct 2022, 02:35 PM

মিথ্যা ঘোষণায় সিগারেট আমদানি করে শুল্ক ফাঁকির মামলায় দুই আমদানিকারককে জেলহাজতে পাঠিয়েছে চট্টগ্রামের একটি আদালত।

রোববার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ জেবুননেসার আদালতে আলাদা মামলায় হাজির হয়ে দুই আমদানিকারক জামিন আবেদন করলে বিচারক তা নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

ওই দুই আমদানিকারক হলেন- ঢাকার মিমি লেদার কটেজের মালিক গোলাম মোস্তফা ওরফে বাচ্চু মিয়া এবং পাবনার এসকে এস এন্টারপ্রাইজের মালিক রাশেদুল ইসলাম কাফি।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহমুদুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে সিগারেট আমদানি করে ১৬ কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষ থেকে গত মার্চে দুইটি মামলা করা হয়। মামলা দুটিতে দুই আমদানিকারকসহ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও কাস্টমস কর্মকর্তাদেরও আসামি করা হয়।

“দুই মামলায় দুই আমদানিকারক উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। নির্দিষ্ট সময়ের পর রোববার তারা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।”

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের নভেম্বরে গোলাম মোস্তফা তার প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাগ-জুতা তৈরির মেশিন এবং রাশেদুল ইসলাম রুটি তৈরির মেশিন আমদানির ঘোষণা দিয়ে সিগারেট আমাদনি করেন। মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি করা এসব সিগারেটের বিষয়টি জানতে পেরে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর থেকে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করে।

কাস্টমস কর্তৃপক্ষ তাদের পণ্য খালাসের বিষয়টি স্থগিত রাখলেও পরে কিছু ‘অসাধু কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীর’ যোগসাজশে তারা সেগুলো খালাস করে নেন।

মিথ্যা তথ্যে আমদানি করা এসব সিগারেট খালাসের মাধ্যমে গোলাম মোস্তফা আট কোটি ১৮ লাখ ৫ হাজার ১৮৩ টাকা এবং রাশেদুল ইসলাম আট কোটি ১৫ লাখ ছয় হাজার ১১২ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।