ডুবে গেছেন এক ব্যবসায়ী; ২৪ ঘণ্টায়ও তার সন্ধান মেলেনি।
Published : 08 Aug 2023, 06:28 PM
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় বানের পানিতে ডুবে মারা গেছেন এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র; নিখোঁজ রয়েছেন এক ব্যবসায়ী।
মঙ্গলবার দুপুরে আমিরাবাদ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের জনকল্যান এলাকায় বাড়ির কিছু দূরে ছাত্রটির লাশ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
মৃত জুনায়েদ ইসলাম জারিফ (২২) বেসরকারি বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
গত সোমবার গভীর রাতে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার পথে পানিতে তালিয়ে যায় জারিফ। মঙ্গলবার দুপুরে তার লাশ উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী।
আমিরাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম ইউনুস জানান, বসত ঘরে পানি উঠে যাওয়ায় গভীর রাতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে জারিফ নিরাপদ স্থানে যাচ্ছিলেন। এ সময় পানির স্রোতে পড়ে তিনি তলিয়ে যান। দুপুরে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আহসাব মিয়া সওদাগর (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিখোঁজ আছেন বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুস।
তিনি জানান, সোমবার বিকালে বাড়ি ফেরার পথে আহসাব স্রোতের টানে তলিয়ে যান। ২৪ ঘণ্টা পার হলেও তার হদিস পাওয়া যায়নি।
টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় ইউনিয়নের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান চেয়ারম্যান ইউনুস।
লোহাগাড়া ছাড়াও বাঁশখালী, হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলায়ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
শনিবার গভীর রাতে বাঁশখালীর বৈলগাঁও ২ নম্বর ওয়ার্ডে ঘরের দেয়াল ধসে মারা যায় পাঁচ বছর বয়সী এক শিশু, তার নাম মেজবাহ।
সোমবার হাটহাজারী উপজেলার ইসলামিয়া বাদামতল এলাকায় কলেজে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পানিতে পড়ে মারা যান হাটহাজারী সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নিপা পালিত।
এছাড়া রাতে রাউজানের উরকিরচর ইউনিয়নে হালদা নদীর শাখা খালে নৌকা থেকে পড়ে স্রোতের টানে নিখোঁজ হয় সাহেদুল ইসলাম বাবু নামে এক খামারি।
চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, “নগরীতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির পাশাপাশি সব উপজেলায় বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। ফটিকছড়ি ছাড়া সব উপজেলা কমবেশি প্লাবিত হয়েছে।
“সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলা। সাতকানিয়া উপজেলার সবকটি ইউনিয়ন পানিতে তলিয়ে গেছে।”
দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ায় বন্যার্তদের সহযোগিতা করতে সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যরা কাজ শুরু করেছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
এদিকে টানা কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে সাতকানিয়ার কেরানিহাট থেকে চন্দনাইশের হাশিমপুর পর্যন্ত সড়ক ডুবে যাওয়ায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।