আহসানুলকে দেড় লাখ টাকা জরিমানার পর তিনি তাৎক্ষণিক তা পরিশোধ করেন। তবে দুই লাখ টাকা পরিশোধ না করায় রাজিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়।
Published : 20 Mar 2024, 08:35 PM
চট্টগ্রামের মেহেদিবাগে একটি আবাসিক ভবনে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল ও অনুমোদনহীন ওষুধ ধ্বংস করে দুই জনকে সাড়ে তিন লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
একজন জরিমানার টাকা পরিশোধ করেছেন, অপরজন তা না দেওয়ায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার শহীদ মির্জা লেন এর নূর ভিলা নামের সেই ভবনে অভিযানটি চালায় জেলা প্রশাসন, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও পুলিশের একটি দল।
মো. আহসানুল কবির ও সুলতানা রাজিয়া নামে দুই জন এসব ওষুধ মজুদ করেছিলেন। আহসানুলকে দেড় লাখ টাকা জরিমানার পর তিনি তাৎক্ষণিক তা পরিশোধ করেন। তবে দুই লাখ টাকা পরিশোধ না করায় রাজিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়।
অভিযান পরিচালনাকারী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “লাইসেন্স ছাড়া কোম্পানির এজেন্সি পরিচালনা, নকল ও ভেজাল ওষুধ মজুদ ও সরবরাহ এবং দামের তারতম্যের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তারা অভিযান পরিচালনায় বাধা দেওয়ার চেষ্টাও করে।
“দুজন অপরাধীই স্বীকার করেছেন যে, তারা নকল ও ভেজাল ঔষধ বিক্রয় ও বিপণন এর সঙ্গে জড়িত।
যেনতেনভাবে মজুদ ইনসুলিন ধ্বংস, তিন দোকানকে জরিমানা
এদের কাছ থেকে যারা ওষুধ কিনে বিক্রি করছেন, তাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হবে জানিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, “যেসব চিকিৎসক এসব নকল, ভেজাল ও অনুমোদনহীন ওষুধ প্রেসক্রাইব করছেন, তাদের ব্যাপারেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।”
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মো. ফখরুজ্জামান বলেন, “নকল-ভেজাল, আনরেজিস্ট্রার্ড ওষুধ এবং অবৈধ ওষুধের বিক্রি ও মজুত বন্ধের অভিযান চলবে এবং এর সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।।”