প্রতিটি ইনসুলিনের গায়ে ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করার নির্দেশনা থাকলেও সেগুলো এর চেয়ে বেশি তাপমাত্রায় ফেলে রাখা হয়েছিল।
Published : 16 Mar 2024, 08:04 PM
চট্টগ্রামে ওষুধের পাইকারি বাজার হাজারী গলির তিনটি দোকানে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে দেশে নিয়ে আসা ইনসুলিন জব্দ করে নষ্ট করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আদালত পরিচালনাকারী ম্যাজিস্ট্রেট বলছেন, ইনসুলিন একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। সেটি না করলে এর গুণগত মান নষ্ট হয়ে যায়। সেই মার্কেটের দুটি দোকানে ইনসুলিন সংরক্ষণের এসব শর্ত মানা হয়নি। ফলে সেগুলো মান নষ্ট হয়ে গেছে বলে তারা ধারণা করছেন।
শনিবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও কোতয়ালি থানা পুলিশ এই যৌথ অভিযান পরিচালনা করে।
প্রথমে ছবিলা কমপ্লেক্সে অবস্থিত প্যাসিফিক ট্রেডার্সে অভিযান চলে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রতিটি ইনসুলিনের গায়ে ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করার নির্দেশনা থাকলেও সেগুলো এর চেয়ে বেশি তাপমাত্রায় ফেলে রাখা হয়েছিল।
“বেশিরভাগ ইনসুলিন লাগেজে করে বিদেশ থেকে আনা। এগুলো অননুমোদিত। বাইরে থেকে আনার সময় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না, ফলে সেগুলোর কার্যকারিতা তখনই শেষ হয়ে গেছে।”
দোকানটির মালিক পল্লব বিশ্বাসকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এরপর নিরূপমা ড্রাগ হাউজ এবং রাজীব ড্রাগ হাউজ নামের অন্য দুটি দোকানে অভিযান চালিয়ে একই চিত্র দেখতে পায় দলটি।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, রাজীব ড্রাগ হাউজে প্রচুর পরিমাণ টিটেনাস এর টিকা পাওয়া যায়। সেগুলোও ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা উচিত, কিন্তু ফেলে রাখা হয়েছে সাধারণ তাপমাত্রায়।
এ সব অভিযোগে দুই দোকানের মালিকের প্রত্যেককে ৩০ হাজার করে মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী কমিশনার সুলতানুল আরেফীন।