ভাসানচরে দগ্ধ পাঁচ শিশুর কেউ বাঁচল না

ওই ঘটনায় দগ্ধ ২৫ ও ২৬ বছর বয়সী আরো দুজন চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Feb 2024, 05:14 AM
Updated : 29 Feb 2024, 05:14 AM

নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গা আশ্রয়ণ প্রকল্পে গ্যাস সিলিন্ডারের আগুনে দগ্ধ আরও এক শিশু চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।

পাঁচদিন আগে ভাসানচরের ওই ঘটনায় দগ্ধ নয়জনের মধ্যে এ পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যু হল। আর যে পাঁচ শিশু ওই ঘটনায় দগ্ধ হয়েছিল, তাদের কাউকেই বাঁচানো গেল না।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান জানান, বুধবার গভীর রাতে রুশমিনা নামে তিন বছর বয়সী শিশুটির মৃত্যু হয়। তার শরীরের ৫০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল, শ্বাসনালীও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

পুলিশ জানায়, ভাসানচরের আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা রোহিঙ্গারা বিভিন্ন এনজিওর সরবরাহ করা সিলিন্ডারের গ্যাসে রান্নার কাজ করেন। আশ্রয়ণ প্রকল্প ৩ এর ৮১ নম্বর ক্লাস্টারের বাসিন্দা সফি আলম গত শনিবার তার খালি সিলিন্ডার জমা দেওয়ার আগে বারান্দায় বসে মুখ খুলে দেখছিলেন। তখন সিলিন্ডারের নিচে জমা গ্যাস বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে।

সফির প্রতিবেশীর ঘরে তখন রান্না চলছিল। ফলে বাতাসে ছড়িয়ে পড়া গ্যাসে আগুন ধরে যায়। তাতে ৫ শিশু, দুজন নারী এবং দুজন পুরুষ দগ্ধ হন।

তাদের মধ্যে সাতজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হলে রাসেল নামের তিন বছর বয়সী একটি শিশুকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

বাকিদের মধ্যে সাড়ে ৩ বছর বয়সী মোবাশ্বেরা সোমবার সকালে এবং ৫ বছর বয়সী রুবি আলম সেদিন বিকালে মারা যায়।

এরপর সোহেল নামের সাড়ে পাঁচ বছর বয়সী এক শিশু বুধবার সকালে হাসপাতালের শিশু আইসিইউতে মারা যায়। গভীর রাতে মারা যায় রুশমিনা।

যে দুজন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তাদের মধ্যে আমেনা খাতুনের (২৬) শরীরের ৮ শতাংশ এবং জুবাইদার (২৫) শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

পুরনো খবর

Also Read: ভাসানচরে গ্যাসের আগুনে দগ্ধ ৯ রোহিঙ্গার মধ্যে এক শিশুর মৃত্যু

Also Read: ভাসানচরে গ্যাসের আগুন: আরও ২ রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু

Also Read: ভাসানচরে গ্যাস থেকে আগুন: মৃত্যু বেড়ে ৪