সরকার নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে সীতাকুণ্ডে ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নাশকতা খুঁজছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
Published : 07 Jun 2022, 07:50 PM
মঙ্গলবার বিকেলে সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই প্রতিক্রিয়া জানান তিনি। এর আগে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়েছিলেন তিনি।
আমীর খসরু বলেন, “দেশে কোন ঘটনা ঘটলেই তারা নাশকতা দেখে। যদি নাশকতা হয়েই থাকে, তাহলে দায়িত্বটা কার? সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে নাশকতা কে করেছে, তাদের খুঁজে বের করা।
“রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে কোন লাভ নেই। সরকার প্রত্যেক জায়গায় যখন ফেল করছে তখন নাশকতা দেখা ছাড়া আর তারা আর কিছুই দেখছে না।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশে আজকে চরম অব্যবস্থাপনা ও দূর্নীতি বিরাজ করছে। একটি অনির্বাচিত ও অবৈধ সরকারের কারণে বাংলাদেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে আজ এই ঘটনা ঘটছে।
“ফায়ার সার্ভিসের উন্নত মানের যন্ত্রপাতি দরকার। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের প্রয়োজনীয় সে যন্ত্রপাতি ও লোকবল নেই। সরকার মেগা প্রজেক্টের নামে টাকা দূর্নীতি করে বিদেশে পাচার করছে।”
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখনও মামলা না হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়ে আমীর খসরু বলেন, “এই যে সরকার বারবার নাশকতার কথা বলছে, এটার পেছনে কারণ আছে। মামলা করার আগে সরকার দেখবে, এই মামলার সঙ্গে দলীয় লোকজন জড়িত আছে কি না?
“তারপর আওয়ামী লীগ মামলা মোকদ্দমা সেইভাবে করবে। এটা শুধু এখানকার দৃশ্য নয়, সারাদেশেই এভাবেই সব হচ্ছে। আওয়ামী লীগ করলেই পার পাওয়া যায়। দেশে কারা আওয়ামী লীগ করে, কারা আওয়ামী লীগ করে না এর ভিত্তিতে দেশ পরিচালনা করছে আওয়ামী লীগ।”
তিনি বলেন, “কথা হচ্ছে কনটেইনার ডিপোটি নিয়মের মধ্যে পরিচালনা হচ্ছিল কি না? কার ব্যর্থতা রয়েছে? এটা কি মালিকের ব্যর্থতায় হয়েছে, না অন্য কারও ব্যর্থতায় হয়েছে। সরকার এই কথাগুলো না বলে নাশকতার কথা বলে পার পাওয়ার চেষ্টা করছে।”
ক্ষতিপূরণ নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, “সরকার দুই লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এই দুই লাখ টাকা দিয়ে কি প্রাণ ফিরে পাওয়া যাবে? নাকি ৫০ হাজার টাকায় আহত কারও চিকিৎসা করা যাবে?
“যেহেতু তারা জনগণের সরকার নয়, তাই তারা দুই লাখ টাকা ও ৫০ হাজার টাকা দিয়ে পার পেতে চাচ্ছে। এখানে অবস্থাপনা, অযোগ্য, অনির্বাচিত, দুর্নীতিবাজরা দেশ পরিচালনা করছে। ফলে তার প্রতিফলন প্রতিটি জায়গায় ঘটবে এটাই স্বাভাবিক। তাদের এসব ব্যর্থতা ঢাকতে তারা নাশকতা দেখবে, এতে করেই সব দায়ভার বিএনপির উপর চাপাতে পারবে।”
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, নগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, বিএনপি নেতা এম এ আজিজ, মো. মিয়া ভোলা, শফিকুর রহমান স্বপন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, বিএমএ চট্টগ্রামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, ড্যাব চমেক শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. জসিম উদ্দীন।