চট্টগ্রামে পুলিশ বক্সে বোমা: ‘মূল পরিকল্পনাকারী’ গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে পুলিশ বক্সে বোমা হামলার ‘মূল পরিকল্পনাকারী’ নব্য জেএমবির এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।

ফাইল ছবি

বুধবার ভোরে নগরীর আকবর শাহ থানার পোর্ট লিঙ্ক রোডের বাংলা বাজার থেকে মো. সেলিম নামে ৩৩ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি নব্য জেএমবির ‘সামরিক কমান্ডার’ বলে পুলিশের ভাষ্য।

গত বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে ষোলশহর ২ নম্বর গেইট মোড়ে ট্রাফিক বক্সে বিস্ফোরণে দুই ট্রাফিক পুলিশসহ পাঁচজন আহত হন। বিস্ফোরণে ট্রাফিক বক্সটিতে থাকা সিগন্যাল বাতি নিয়ন্ত্রণের সুইচ বোর্ড নষ্ট হয়।

ওই ঘটনায় নগরীর পাঁচলাইশ থানায় বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা করে ট্রাফিক পুলিশ। পরে মামলার তদন্তভার পায় চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।

চট্টগ্রামে পুলিশ বক্সে হামলায় ‘আইএসের দায় স্বীকার’  

পুলিশ বক্সে বোমা হামলায় ‘দুবাইপ্রবাসীর পৃষ্ঠপোষকতা’  

‘পুলিশ বক্সে বিস্ফোরণে জড়িতরা উগ্র মৌলবাদে বিশ্বাসী’  

চট্টগ্রামে ট্রাফিক বক্সে বিস্ফোরণ, ২ পুলিশ আহত  

পুলিশের বিশেষায়িত এই ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আহমেদ পেয়ার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এ মামলায় আগে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সেলিমের বিষয়ে তথ্য পান তারা।

ফাইল ছবি

“এ মামলায় নয় আসামি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। তার মধ্যে আটজন তাদের জবানবন্দিতে সেলিমের নাম ও সংগঠনে তার ভূমিকার কথা উল্লেখ করেছে।”

এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীসহ এ পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার এক আসামি জবানবন্দিতে লোহাগাড়া উপজেলার বাসিন্দা দুবাই প্রবাসী শাহজাহান নামে এক তরুণের ‘পরিকল্পনা ও অর্থায়নে’ জড়িত থাকার তথ্য দিয়েছে বলে এর আগে জানিয়েছিলেন কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা।

পুলিশ বক্সে বোমা বিস্ফোরণের একদিন পর এ হামলায় আইএস জড়িত বলে দাবি করেছিল যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জঙ্গিবাদ পর্যবেক্ষণকারী সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ। তবে পুলিশ বলে আসছে, এটা স্থানীয় জঙ্গিদের কাজ।