জলাবদ্ধতা: প্রকল্পে দেরি নিয়ে মেয়র রেজাউলও চিন্তায়

চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিসরন প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি ও খালের বাঁধ না সরায় নিজের চিন্তার কথা জানিয়েছেন মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী।

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকারের প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকার চারটি প্রকল্প চলমান। এগুলোর দুটি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-সিডিএ বাস্তবায়ন করছে।

রোববার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত পরিষদের সপ্তম সাধারণ সভায় মেয়র বলেন, “বার বার প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে, এনিয়ে চিন্তায় আছি।

“কেননা চট্টগ্রাম নগরীতে ৫৭টি খলের মধ্যে বেশ কয়েকটি খাল সিটি কর্পোরেশনের মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। এই খালগুলোর পুনরুদ্ধার সংস্কার ছাড়া জলাবদ্ধতা নিরসন কতটুকো সফল হতে পারে, তা বুঝতে পারছি না।”

প্রকল্প বাস্তবায়নে সিডিএ বিভিন্ন খালের উপর যে বাঁধগুলো দিয়েছে, সেগুলো অপসারণ করেনি।

মেয়র বলেন, “এ কারণে এবার বর্ষা মৌসুমে নগরীতে জলাবদ্ধতা প্রকট হয়েছে। ফলে নালা-নর্দমা, খালে পড়ে গিয়ে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।”

সিডিএ’র অধীনে বাস্তবায়নাধীন মেগা প্রকল্পের অধীনে ৩৬টি খালে সংস্কার কাজ হচ্ছে। ২০২০ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা ছিল। এরপর দু’বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। চলতি বছর আবারও মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়।

অনেক গুরুত্বপূর্ণ সড়কে সংস্কার কাজ করা সম্ভব না হওয়ার জন্য মেয়র বলেন, এবার বর্ষা মৌসুম দীর্ঘায়িত হওয়া এবং অতিবর্ষণকে কারণ দেখান মেয়র।

তিনি আরও বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে যে সব রাস্তার ক্ষতি হয়েছে, সেগুলো ঠিক করে দেওয়ার দায়িত্ব প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষের হলেও তারা তা করেনি।

সভায় সিসিসির পরিচ্ছন্ন বিভাগের কার্যক্রম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মেয়র রেজাউল।

তিনি বলেন, “আপাতত নগরীর দুয়েকটি ওয়ার্ডের আবাসিক এলাকায় আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে পরিচ্ছন্নতা সেবা দেয়া যায়। তবে এজন্য বাড়তি ট্যাক্স আদায়েরও কোনো সুযেগ নেই। কারণ নগরবাসী এই খাতে একবার ট্যাক্স দিতে অভ্যস্ত।”

নগরায়নের ক্ষেত্রে ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়ার পাশা্পাশি প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে শিশু পার্ক স্থাপনের পরিকল্পনাও জানান তিনি।

সিসিসি’র সচিব খালেদ মাহমুদের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, প্যানেল মেয়র, ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সংরক্ষিত কাউন্সিলর, বিভাগীয় ও শাখা প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।