“ব্যবসায়ীদের মধ্যে একাধিক ব্যক্তি আছেন, যাদের এ ব্যবসা ছাড়া আর কিছুই নেই। তাদের এখন পথে বসতে হবে।”
Published : 17 May 2024, 12:08 PM
গাইবান্ধা শহরের স্টেশন রোডের সান্দারপট্টিতে আগুন লেগে বিভিন্ন পণ্যের দশটি দোকান পুড়ে গেছে।
এতে চার থেকে পাঁচ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীদের দাবি। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় লাগা এ আগুন গাইবান্ধা ও সাদুল্লাপুর ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই এলাকার ‘সনি রেকসিন হাউজ’ নামের একটি দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে মূহুর্তের মধ্যে সেই আগুন আশেপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে।
জাকির হোসেন বলেন, “খবর পেয়ে প্রথমে গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। পরে গাইবান্ধা ও সাদুল্লাপুর থেকে আরও চারটি ইউনিট যোগ দেয়।
“পাঁচটি ইউনিট প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টার পর রাত আড়াইটায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু ততক্ষণে দশটি দোকানসহ সব মালামাল পুড়ে যায়। তবে এ সময় কেউ হতাহত হয়নি।”
পুড়ে যাওয়া দোকানের মধ্যে কসমেটিকস, সুতা, শিশু খাদ্য, রেকসিন, আতশবাজী ও প্রসাধনীর দোকান রয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা জানান।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে বলে জাকির হোসেনের ভাষ্য। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, “কিছু প্রতিষ্ঠানে আতশবাজি, তেল ও কসমেটিকস ছিল। পটকাগুলো ফুটে আগুন বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।”
সান্দারপট্টির ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী সনি রেকসিন হাউজের মালিক সাহিন মিয়া বলছিলেন, আগুনে তার চার থেকে পাঁচ কেটি টাকার মালামাল পুড়ে গেছে।
একই দাবি করেছেন, নিতাই চন্দ্র স্টোরের মালিক বিপ্লব সাহা।
আলতাফ স্টোরের মালিক আলতাফ হোসেন বলছিলেন, “আগুনে তার দোকোনের কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে ব্যবসায়ীদের মধ্যে একাধিক ব্যক্তি আছেন, যাদের এ ব্যবসা ছাড়া আর কিছুই নেই। তাদের এখন পথে বসতে হবে। সব মিলিয়ে কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।”
বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা ফায়ার সার্ভিসের। তবে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে প্রাথমিকভাবে কোনো তথ্য জানাতে পারেনি তারা।