করোনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যে সর্বাত্মক লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে বিভিন্ন এলাকায় বিধিনিষেধ না মানায় ৪২টি মামলা দিয়ে ৪১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
Published : 16 Apr 2021, 12:55 AM
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পুলিশও বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে দেড়শ যানবাহনকে মামলা দিয়েছে; আটক করা হয়েছে ৮৭ যানবাহন।
দেশব্যাপী লকডাউনের দ্বিতীয়দিনে বন্দরনগরীর মূল সড়কগুলো অনেকটাই ফাঁকা থাকলেও অলিগলিতে মানুষের আনাগোনা ছিল অনেক বেশি। নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
তারা রাস্তায় নামা বিভিন্ন প্রকার যানবাহন তল্লাশি চালায়। এসময় গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষা করা ছাড়াও যৌক্তিক কারণে ঘর থেকে বের হয়েছে কি না পরীক্ষা করে দেখেন।
এছাড়া লকডাউনের দিন সকাল বেলা খোলা থাকা বিভিন্ন বেসরকারি চাকরিজীবীদের যানবাহন সংকটের কারণে অফিস যাওয়া ও আসার জন্য ভুগতে দেখা গেছে। তবে ইফতারের আগে বিকালের দিকে নগরীর সড়কগুলোতে জনসমাগম কিছুটা বাড়তে দেখা যায়।
সিএমপির মুখপাত্র জনসংযোগ কর্মকর্তা অতিরিক্তি উপ-কমিশনার শাহ মো. আবদুর রউফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, লকডাউনে প্রয়োজন ব্যতিত যারা বের হচ্ছে তারা সদুত্তর দিতে না পারলে মামলা করা হচ্ছে।
এদিকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দিনভর নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের ১০জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নগরীর পাহাড়তলী, হালিশহর, আকবর শাহ, পতেঙ্গা, ইপিজেড, পাঁচলাইশ, বাকলিয়া, চকবাজার, কোতয়ালী, খুলশী, চান্দগাঁও, সদরঘাটসহ বিভিন্ন এলাকায় এ অভিযান চালান।
এসময় তারা অভিযান চালানোর পাশাপাশি সাধারণ জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মানার পরামর্শ দেন এবং বিভিন্ন মানুষের নিকট মাস্ক বিতরণ করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, পৃথক অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়ে ৪২ মামলা করা হয় এবং ৪১ হাজার তিনশ টাকা জরিমানা করা হয়।
এসময় লকডাউন চলাকালীন সময়ে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার জন্য জনসাধারণকে অনুরোধ করা হয় বলে জানান তিনি।
ট্রাফিক বিভাগের হিসেব অনুযায়ী, ১০টি বাস, ১২টি পিকআপভ্যান, ১৮টি প্রাইভেট কার, হিউম্যান হল্যার ১৫টি, অটোরিকশা ২০টি, টেম্পু ২০, ৫৫টি মোটরসাইকেলকে এসব মামলা দেয়া হয়।