৩২ বছর আগে বাবা আতাউর রহমান খান কায়সার আওয়ামী লীগের যে পদে ছিলেন সেই পদে এখন কন্যা ওয়াসিকা আয়শা খান, বাবার মৃত্যুবার্ষিকীতে তার রাজনৈতিক জীবন নিয়ে বললেন সংরক্ষিত নারী আসনের এই সাংসদ।
Published : 09 Oct 2020, 10:43 PM
শুক্রবার নগরীর চন্দনপুরায় প্রয়াত নেতা আতাউর রহমান খান কায়সারের স্মরণ সভার আয়োজন করে নগর যুবলীগ।
সভায় বাবার রাজনৈতিক জীবনের স্মৃতিচারণ করে ওয়াসিকা বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকা অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি শিক্ষা আন্দোলনে যোগ দেন। চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগকে সুংসগঠিত করতে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে বাবার কর্মকাণ্ড চট্টগ্রামবাসীর কাছে এখনও দৃষ্টান্ত। সৎ ও নির্মোহ রাজনীতিবিদ হিসেবে বাবাকে মানুষ আজও মনে রেখেছে।
১৯৭০ সালে আনোয়ারা-বাঁশখালী আসনের এমএলএ আতাউর রহমান খান কায়সার মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন। পঁচাত্তরে জাতির জনককে হত্যার পর গ্রেপ্তার হন তিনি।
১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক হন আতাউর রহমান খান। ১৯৯২ সালে একই পদ পান। পরে ২০০২ সালে হন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য।
২০১০ সালের ৯ অক্টোবর আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য থাকাকালে মারা যান আতাউর রহমান খান কায়সার।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে আতাউর রহমান খান কায়সারের মেয়ে ওয়াসিকা আয়শা খান আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদকের পদ পান। ৩২ বছর আগে যে পদে তার বাবাই ছিলেন।
স্মরণ সভায় নগর যুবলীগ আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু বলেন, “জননেতা আতাউর রহমান খান কায়সার ছিলেন আমাদের আওয়ামী রাজনীতির অভিভাবক। দলের কঠিন দুঃসময়ে স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী আন্দোলন এবং এক এগারোর কঠিন সময়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোলনে তিনি সাহসী ভূমিকা রেখেছিলেন।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের সদ্য বিদায়ী সহ-সম্পাদক মো সেলিম উদ্দিন, মহানগর যুবলীগের সদস্য সরওয়ার মোরশেদ কচি, সাইফুল ইসলাম, একরাম হোসেন, শাখাওয়াত স্বপন, মাসুদ রেজা, আবু সাঈদ জন, হেলাল উদ্দীন, অধ্যাপক কাজী মুজিব, রনজিৎ দে, হাবিব উল্লাহ নাহিদ, নুরুল আনোয়ার, শহীদুল ইসলাম শামীম, সালেহ আহমেদ দিগল, নাছের তালুকদার, প্রবীর দাশ তপু প্রমুখ।