আওয়ামী লীগের ‘ঘরের শত্রুরাই সবচেয়ে ভয়ঙ্কর’ বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলটির মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী।
Published : 25 Sep 2020, 10:14 PM
শুক্রবার বিকেলে প্রয়াত নেতা এম এ মান্নান ও কাজী ইনামুল হক দানু’র স্মরণে চকবাজার আওয়ামী লীগ আয়োজনে কাতালগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, “আমাদের ঘরের বাইরের শত্রুরা তৎপর, তারা যে কোনো সময় ফণা তুলতে পারে। তবে ঘরের শত্রু বিভীষণরা সবচেয়ে বেশি ভয়ঙ্কর। এই ঘরের শত্রু বিভীষণদের কারণে ১৯৭৫ এর ১৫ অগাস্ট ট্র্যাজেডি ঘটেছিল।
“এই ঘরের শত্রু বিভীষণরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর আরাধ্য সোনার বাংলা বাস্তবায়নে যেন পথের কাটা হয়ে দাঁড়াতে না পারে সেজন্য আমাদের সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।”
নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামের আওয়ামী রাজনীতির ত্যাগী, পরীক্ষিত ও দুঃসময়ের কাণ্ডারীদের জীবনাদর্শ অনুসরণ করে দলীয় রাজনীতির ‘পরিশুদ্ধতা অর্জন’ সম্ভব হলে কোনো অপশক্তি আওয়ামী লীগের অগ্রযাত্রাকে রুখতে পারবে না।
“এই সত্যটুকু ধারণ করে দলের সকল স্তরের সাংগঠনিক নেতৃত্বকে সুসংগঠিত করতে হবে এবং যে কোনো কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তৃণমূল স্তরকে গণমানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করার যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে।”
মাহতাব বলেন, “দল ও সরকারের ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য যারা অজ্ঞানতা বা অসচেতনামূলকভাবে নীতিভ্রষ্ট হচ্ছে, তাদেরকে নিবৃত রাখাটা সবচেয়ে বেশি জরুরি হয়ে পড়েছে।”
নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, প্রয়াত জননেতা এম. মান্নান ও কাজী ইনামুল হক দানু ছিলেন ‘সৃজনশীল কর্মী সৃষ্টির কারিগর’। তারা কখনো রাজনীতিকে ‘অর্থ বিত্তের হাতিয়ার হিসেবে’ ব্যবহার করেননি।
“তাই তারা আমাদের কাছে শুদ্ধাচারী অপাপবিদ্ধ রাজনীতিক হিসেবে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। আওয়ামী লীগ প্রায় এক যুগ ধরে টানা ক্ষমতাসীন। তাই কিছু সুযোগ সন্ধানী হাইব্রিড অনুপ্রবেশ করেছে। এরা সরাসরি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের চেয়েও বেশি বিপজ্জনক। এরা যে কোনো সময় ষড়যন্ত্রকারীদের সাথে হাত মেলাতে পারে।”
প্রয়াত এম এ মান্নান নগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও মন্ত্রী ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধা কাজী ইনামুল হক দানু ছিলেন নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক।
চকবাজার থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাব উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হকের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে নগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য শফর আলী, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য চন্দন ধর, উপ-প্রচার সম্পাদক শহিদুল আলম, কার্যনির্বাহী সদস্য বখতেয়ার উদ্দিন খান, শ্রমিক লীগ নেতা আবুল হোসেন আবু, কাজী ইনামুল হক দানুর ছেলে কাজী রাজেশ ইমরান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।