চট্টগ্রামকে উন্নত শহরে রূপান্তর করতে বন্দর কর্তৃপক্ষের ভূমিকা চান সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।
Published : 23 Aug 2020, 09:22 PM
রোববার চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যন রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বলেন, “চট্টগ্রাম যেহেতু বন্দর নগরী, এই বন্দরকেই চট্টগ্রাম নগরীর লালন এবং উন্নতমানের শহরে রূপান্তর করতে ভূমিকা রাখতে হবে। চট্টগ্রাম বাঁচলেই সারা বাংলাদেশ বাঁচবে।
“অর্থনৈতিক গুরুত্বে চট্টগ্রাম আমাদের দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী এবং এর মধ্য দিয়েই সঞ্চালিত হয় দেশের অর্থনৈতিক জীবনীশক্তি। দেশের সর্বমোট রপ্তানি বাণিজ্যের প্রায় ৭৫ ভাগ সংঘটিত হয় চট্টগ্রামের উপর দিয়ে।”
সিসিসি প্রশাসক সুজন বলেন, “চট্টগ্রাম নগরীর সড়কগুলোর উপর দিয়ে সারা দেশের আমদানি-রপ্তানি পরিবহন চলাচল করে। তাই এই সড়কগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ও সম্প্রসারণের দায়িত্ব বন্দরের উপরও বর্তায়। বন্দরের রাস্তায় বিশালাকৃতির গাড়িগুলো অলস পার্কিংয়ের কারণে সৃষ্ট যানজট থেকে মুক্ত রাখতে হলে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।”
তিনি বলেন, “আগ্রাবাদ থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ মানুষের বসবাস। কিন্তু দুঃখের বিষয় এখানে একটি মাতৃসদন কিংবা জেনারেল হাসপাতাল নেই। আমাদের এই অঞ্চলের মায়েদের কথা চিন্তা করে এখানে একটি মাতৃসদন হাসপাতাল করার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগ নেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।”
বন্দরকে দেশের ‘অর্থনীতির হৎপিণ্ড’ আখ্যায়িত করে বন্দরের ব্যবস্থাপনায় ‘স্বচ্ছতা ও সক্ষমতা অনেকাংশে’ ফিরে এসেছে বলে মন্তব্য করেন প্রশাসক সুজন।
তিনি বলেন, “বর্তমান সরকার চট্টগ্রাম বন্দরকে আধুনিকায়নের মাধ্যমে নেদারল্যান্ডস ও সিঙ্গাপুরের মত অর্থনৈতিক উন্নয়নে বদ্ধপরিকর। তাই বর্তমান সময়ে চট্টগ্রাম বন্দর সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার যোগাযোগ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।”
এসময় বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দর জাতির অস্তিত্বের মত। বন্দরের সসক্ষমতা বৃদ্ধিতে বে-টর্মিনাল বাস্তবায়ন, কর্ণফুলী নদীর ক্যাপিটাল ড্রেজিং অব্যাহত রাখা, পতেঙ্গা ও লালদিয়ার চরের টার্মিনাল নির্মাণ, পোর্ট লেবার কলোনিতে টার্মিনাল নির্মাণ, কর্ণফুলী নদীর উভয় তীরের ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
“রাজাখালি খাল ও মহেশখাল ড্রেজিং করা, মহেশখালে পাম্প হাউস সহ স্লুইচ গেট নির্মাণ এখন সময়ের দাবি।”
বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, আনোয়ারা, ফেনী ও মিরসরাই অর্থনৈতিক জোন চালু হলে এবং কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মিত হলে বন্দরের বহুমাত্রিক ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে। সে বিষয়টিকে আমলে এনে বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
বন্দর চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) প্রশাসকের হাতে বন্দরের মনোগ্রাম খচিত একটি ক্রেস্ট তুলে দেন।
এসময় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (অ্যাডমিন অ্যান্ড প্ল্যানিং) জাফর আলম, সদস্য (প্রকৌশল) কমডোর এম নিয়ামুল হাসান, সিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লেফটেন্যান্ট কর্নেল সোহেল আহমদ, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক, বন্দরের প্রধান প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান, উপ-ব্যবস্থাপক (ভূমি) মো. জিল্লুর রহমান, চট্টগ্রাম বন্দর সিবিএ সভাপতি আবুল মনছুর আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক নায়েবুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।