করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় চট্টগ্রামে ফিল্ড হাসপাতালের যাত্রা শুরু

করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে স্থাপিত ‘ফিল্ড হাসপাতালের’ যাত্রা শুরু হয়েছে।

শিল্প গোষ্ঠী নাভানা গ্রুপের জমিতে জনগণের টাকায় স্থাপিত ফিল্ড হাসপাতালটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় মঙ্গলবার সকালে। করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডির অদূরে এ হাসপাতালের অবস্থান।

৬০ শয্যার ফিল্ড হাসপাতালে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের পাশাপাশি ফ্লুতে আক্রান্তদেরও চিকিৎসা দেওয়া হবে বলে জানান উদ্যোক্তারা।

মাত্র ২০ দিন আগে সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাটের পাক্কা রাস্তার মাথায় নাভানা গ্রুপের সহ-প্রতিষ্ঠান আফতাব অটোমোবাইলসের জায়গায় হাসপাতালটি স্থাপন করা হয়েছে।

এ হাসপাতালের উদ্যোক্তা জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটি মূলত ফিল্ড হাসপাতাল। এখানে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের সাথে সাধারণ ফ্লুতে আক্রান্তদেরও চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে।”

তিনি জানান, প্রায় সাড়ে সাত হাজার বর্গফুট জায়গায় এ হাসপাতালটি স্থাপন করা হয়েছে। শুরুতেই ৬০টি শয্যা নিয়ে শুরু হয়েছে। এর মধ্যে ১০টি ভেন্টিলেটরসহ আইসিইউ শয্যা রয়েছে।

“তবে আইসিইউ ব্যবস্থা এখনই চালু করা যায়নি। শয্যা প্রস্তুত থাকলেও সরঞ্জাম পুরোপুরি লাগানো না হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। দ্রুতই তা সেট করে আইসিইউ সেবা শুরু করা যাবে।”

ফিল্ড হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শুরুতেই ১০ জন চিকিৎসক স্বেচ্ছাসেবীর ভিত্তিতে এ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেবেন। এছাড়া নার্স, মেডিকেল স্টাফ ও স্বেচ্ছাসেবকরা থাকছেন চিকিৎসা সহায়তায়।

উদ্যোক্তা বিদ্যুৎ বড়ুয়া বলেন, পালা করে চিকিৎসক ও নার্সরা রোগীদের সেবা দেবেন।  জ্বর, সর্দি, কাশি, হাঁচির উপসর্গ নিয়ে বাসা রোগীরাও এখান থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন।

পুরোপুরি জনগণের অর্থায়নে এ হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে জানালেও মোট কত অর্থ ব্যয় হয়েছে তা উল্লেখ করেননি তিনি। হাসপাতালের জন্য নাভানা গ্রুপের পক্ষ থেকে জায়গা দিয়ে সহযোগিতা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার শুরুর দিন বিকাল পর্যন্ত একজন রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন বলে জানান বিদ্যুৎ বড়ুয়া।