স্বামীর সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে ঘর ছেড়ে আসা চট্টগ্রামের এক গৃহবধূ তার প্রেমিককে পাননি, পরে ঘরে ফেরার পথে খালার স্বামীর কাছে ধর্ষিত হয়েছেন তিনি।
Published : 27 Feb 2020, 09:49 PM
স্ত্রীর বড় বোনের মেয়ে দুই সন্তানের জননী ওই নারীকে মেয়ে পরিচয় দিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর সদরঘাট এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে তুলে ধর্ষণ করেন মো. ফরিদ (৪৫)।
পরে ওই গৃহবধূর ‘আত্মহত্যার চেষ্টার’ সময় হোটেলকর্মীরা পুলিশে খবর দিলে তাকে উদ্ধারের পাশাপাশি ফরিদকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) নোবেল চাকমা জানিয়েছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে ফরিদ ওই মেয়েকে ‘ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন’। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম শফি উদ্দিনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি।
পেশায় সিএনজি অটোরিকশার চালক ফরিদ চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার মুছাপুরের বাসিন্দা।
সহকারী কমিশনার নোবেল বলেন, ফরিদ বুধবার বিকালে নিজের মেয়ে পরিচয় দিয়ে তার স্ত্রীর বড় বোনের মেয়েকে নিয়ে নগরীর সদরঘাট এলাকার গোল্ডেন স্টার হোটেলের ১০৬ নম্বর রুমে উঠেছিলেন।
“সেখানে ওই তরুণীকে জোর করে ধর্ষণ করে।”
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সন্দ্বীপ উপজেলার বাসিন্দা ওই গৃহবধূর স্বামী থাকেন নারায়ণগঞ্জে।
“স্বামীর সহকর্মীর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। বিষয়টি পরিবারে জানাজানি হলে দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হয়। গত ২১ ফেব্রুয়ারি স্বামীর ওই সহকর্মী তাকে বাড়ি থেকে বের হয়ে চট্টগ্রামে চলে আসতে বলে।
“প্রেমিকের কথায় বিশ্বাস করে ওই নারী তার সন্তানদের রেখে চট্টগ্রামে চলে আসেন। কিন্তু লোকটি চট্টগ্রামে এসে তাকে নিয়ে না যাওয়ায় রাতে একাই ঢাকায় চলে যান তিনি। সেখানে প্রথমে তার বান্ধবী ও পরে নানার বাসায় ওঠেন।”
মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে তার নিখোঁজের কথা উল্লেখ করে সন্দ্বীপ থানায় একটি জিডি ডায়েরি করা হয়েছিল জানিয়ে সহকারী কমিশনার নোবেল বলেন, “পরে মেয়েটি তার নানার বাসায় আছে জানতে পেরে পরিবারের পক্ষ থেকে তার খালু ফরিদকে ঢাকায় পাঠানো হয় নিয়ে আসার জন্য। তাকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে নিয়ে ওই হোটেলে ওঠেন ফরিদ।
“ধর্ষণের পর বিকালে ফরিদ মেয়েটিকে রুমে রেখে খাবার আনতে বাইরে বের হন। হোটেলে ফিরে তিনি ডাকাডাকির পরও দরজা না খোলায় হোটেলের লোকজন এসে দরজা খোলেন।”
এ সময় ওই নারী আত্মহত্যার চেষ্টা করছিলেন জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “হোটেল থেকে পুলিশকে গিয়ে খবর দিলে পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার করে ফরিদকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।”