জালিয়াতি করে রোহিঙ্গাদের জন্য এনআইডি তৈরির ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন ডেটা এন্ট্রি অপারেটরকে দুই দিন হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
Published : 24 Sep 2019, 06:49 PM
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আবু সালেম মো. নোমান এ আদেশ দেন।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. কামরুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলেন। মঙ্গলবার আদালত শুনানি শেষে দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেয়।
এর আগে জয়নাল আবেদীন নামে চট্টগ্রাম নির্বাচন কার্যালয়ের এক অফিস সহায়ক ও মোস্তফা ফারুক নামে প্রকল্পের অধীনে কর্মরত এক টেকনিক্যাল সাপোর্ট স্টাফকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে সোমবার বিকালে ঢাকা নির্বাচন কমিশন কার্যালয় থেকে শাহানুর মিয়া মিয়া নামে এক কর্মচারীকে আটক করা হয়। গ্রেপ্তার তিন ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের মধ্যে শাহীন ঢাকা থেকে আটক শাহনুর মিয়ার স্ত্রীর বড় ভাই বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
শাহনুর মিয়াকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মঙ্গলবার এনআইডি জালিয়াতির মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক রাজেশ বড়ুয়া।
তদন্ত কর্মকর্তা রাজেশ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শাহনুর মিয়াকে আমরা আজকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছি। বুধবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে।”
এক রোহিঙ্গা নারী সম্প্রতি ভুয়া এনআইডি সংগ্রহ করে চট্টগ্রামে পাসপোর্ট নিতে গিয়ে ধরা পড়ার পর জালিয়াত চক্রের খোঁজে নামে নির্বাচন কমিশন। আটকে দেয় রোহিঙ্গা সন্দেহে অর্ধশত এনআইডি বিতরণ।
এই ঘটনায় গত গত ১৬ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীন এবং তার দুই সহযোগীকে একটি ল্যাপটপসহ আটক করে পুলিশে দেয় কর্মকর্তারা। তার কাছ থেকে তথ্য নিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় নির্বাচন কমিশনের প্রকল্পের অধীনে কর্মরত টেকনিক্যাল সাপোর্ট স্টাফ মোস্তফা ফারুককে।
তাদের কাছ থেকে মামলার তদন্তকারী সংস্থা তথ্য পেয়েছে, ঢাকা নির্বাচন কমিশনে কর্মরত শাহনুর মিয়ার মাধ্যমে তারা রোহিঙ্গাদের এনআইডি করিয়ে দিতেন। শাহনূর দেশের বিভিন্ন উপজেলার পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে সার্ভারে প্রবেশ করতে পারেন।
শাহনুর মিয়াকে ঢাকা নির্বাচন কমিশন থেকে আটকের পর ইসির এনআইডি উইংয়ের পরিচালক (অপারেশন্স) মো. আবদুল বাতেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছিলেন, ইসির তদন্ত টিমের প্রতিবেদনেও শাহানূর মিয়ার সম্পৃক্ততার বিষয়টি অনুমিত হয়েছে।