চট্টগ্রামে দিনেদুপুরে দলবেঁধে পেটানো হল যুবককে

বরগুনায় এক যুবককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার রেশ না কাটতেই চট্টগ্রামে আরেকজনকে দিনের বেলায় লাঠি দিয়ে পেটানোর ঘটনা ঘটেছে।

রোববার বিকালে নগরীর আকবর শাহ থানার বিশ্ব কলোনিতে ওই ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে ফেইসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

হামলার ওই ঘটনায় এরই মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে একজন সরাসরি হামলায় অংশ নিয়েছেন বলে পুলিশের ভাষ্য।

গ্রেপ্তাররা হলেন- সাজু (২৪), মাসুদ (১৮), মিরাজ (১৭), বেলাল (২০) ও তারেক (১৮)।

আকবর শাহ থানার ওসি জসীম উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যে যুবককে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে তার নাম মহসিন (২৫)। মারামারির একটি মামলায় কিছুদিন কারাবাসের পর গত বৃহস্পতিবার জামিনে ছাড়া পেয়েছে।

“মারধরের ঘটনায় কালো একটি লাঠি হাতে থাকা যুবকটির নাম সাজু। থাকে নন্দন গেইট এলাকায়।”

ফুটেজে দেখা যায়, সাদ টি শার্ট পরা মহসিন একটি গলি থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লাঠিসোটা নিয়ে কিছু যুবক তাকে ঘিরে ফেলে। মহসিন পালানোর চেষ্টা করলেও টেনে তাকে গলির ভেতরে নিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকে ওই যুবকরা।

এক পর্যায়ে মহসিন মাটিতে পড়ে গেলেও পেটানো বন্ধ হয়নি। মহসিন মাটি থেকে ওঠার চেষ্টা করলে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে একজন তার পা ধরে রাখে অন্যরা তাকে মারতে থাকে। মারধরে মহসনি নিস্তেজ হয়ে পড়লে হামলাকারীরা সরে পড়ে।

ওসি জসিম উদ্দিন বলেন, “এক মিনিট ৩৩ সেকেন্ডের হামলার ভিডিও ফুটেজ আমরা পেয়েছি। সেখান থেকে মোট আটজনকে আমরা শনাক্ত করেছি। এদের সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিল।”

হামলাকারীদের মধ্যে জুয়েল, তুহিন, রাব্বী, পারভেজ, ফারহান ও খোকন নামের ছয়জনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। হামলার সময় যে যুবকটি মহসিনের পা ধরে রেখেছিল তার নাম জুয়েল। তুহিন, রাব্বী, পারভেজ, সাজু ও ফারহান তাকে লাঠি দিয়ে পেটায়। আর খোকন তাদের সঙ্গে ছিল।”

হামলার শিকার মহসিন নগরীর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সরওয়ার মোর্শেদ কচির সমর্থক হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তার বিরুদ্ধে মারামারি-হামলার একাধিক অভিযোগ আছে। আর হামলাকারীরা ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসীমের সমর্থক বলে জানা গেছে।

ওসি জসীম বলেন, “এই ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। তবে হামলাকারীরা স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের অনুসারী বলে অনেকে অভিযোগ করছে।”

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে কাউন্সিলর জহুরুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এলাকায় আমার কোনো গ্রুপ নেই। যারা এ ঘটনার সাথে জড়িত আমি তাদের সবার বিচার চাই।”

তিনি বলেন, “মহসিন ছিনতাইসহ ১৮ মামলার আসামি। কয়েকদিন আগে সে কারাগার থেকে ছাড়া পেয়েছে। শনিবার জুয়েল নামে এক ছেলেকে মহসিন ও তার সহযোগীরা মারধর করেছে।”

ওই ঘটনার জেরে তার ওপর হামলা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা কাউন্সিলর জসীমের।