বাঘ, সিংহ, জেব্রার পর এবার চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় প্রাণী পরিবারে যুক্ত হয়েছে উটপাখি ও এমু পাখি।
Published : 29 Apr 2019, 04:41 PM
সোমবার চারটি করে উটপাখি ও এমু অবমুক্ত করা হয় চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায়। আর জুলাই মাসে ক্যাঙ্গারুও আসবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ।
চিড়িয়াখানার চিকিৎসক ও ডেপুটি কিউরেটরের দায়িত্বে থাকা শাহাদাৎ হোসেন শুভ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, দুই জোড়া করে উট পাখি ও এমু পাখি চিড়িয়াখানায় আনা হয়েছে। খুলনায় বেসরকারি খামার থেকে উটপাখি ও এমুগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে।
কিউরেটর শুভ বলেন, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার পশ্চিম পাশে পাহাড়ের নিচে প্রায় ৪৮ হাজার বর্গফুট জায়গায় মাটি ভরাট করে তিনটি খাঁচা নির্মাণ করা হয়েছে। তার দুইটিতে উটপাখি ও এমু পাখিগুলো রাখা হয়েছে।
আগামী জুলাই মাসের দিকে চিড়িয়াখানায় ক্যাঙ্গারু আনার পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।
১৯৮৯ সালে চট্টগ্রাম নগরীর ফয়’স লেক এলাকায় ছয় একর জায়গা নিয়ে নির্মিত হয় চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এ চিড়িয়াখানায় বর্তমানে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, বাঘ, সিংহ, হরিণ, কুমির, ভাল্লুকসহ প্রায় ৬৭ প্রজাতির প্রাণী।
কর্মকর্তারা জানান, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা দেশের লাভজনক চিড়িয়াখানার একটি। সরকারি কোনো অনুদান ছাড়া টিকিটি বিক্রির টাকা দিয়ে এটি পরিচালিত হয়। চিড়িয়াখানায় আয় হওয়া অর্থ দিয়েই প্রাণী সংগ্রহ করা হচ্ছে।
তারা জানান, প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার দর্শনার্থী চিড়িয়াখানায় যায়। এরমধ্যে সাপ্তাহিক ছুটি কিংবা অন্যান্য ছুটিতে তা সাত থেকে ১০ হাজার হয়ে যায়। টিকিট বিক্রির এ টাকা থেকে ২০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী বেতন পরিশোধ, পশু খাদ্য ও উন্নয়ন খরচ বহন করা হয়।