চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় যোগ হচ্ছে ক্যাঙ্গারু, উটপাখি, এমু

বাঘ, সিংহ, জেব্রার পর এবার চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় প্রাণী পরিবারে যুক্ত হচ্ছে ক্যাঙ্গারু, উটপাখি ও এমু।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Jan 2019, 07:49 AM
Updated : 19 Jan 2019, 07:49 AM

চলতি বছরের মাঝামাঝিতে এই তিন প্রজাতির প্রাণী চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আসবে বলে ধারণা কর্তৃপক্ষের।    

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের সদস্যসচিব ও হাটহাজারী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা নিজস্ব পরিকল্পনা শেষ করেছি। পাশাপাশি এসব প্রাণীর জন্য তিনটি খাঁচাও তৈরি করা হয়েছে।

“জেলা প্রশাসকের সম্মতি নিয়েই আমরা মূল প্রক্রিয়া শুরু করব। সব মিলিয়ে এ বছরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই ক্যাঙ্গারু, উটপাখি ও এমু পাখিগুলো চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় এসে পৌঁছাবে বলে আশা করছি।”

১৯৮৯ সালে চট্টগ্রাম নগরীর ফয়’স লেক এলাকায় ছয় একর জায়গা নিয়ে নির্মিত হয় চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এ চিড়িয়াখানায় বর্তমানে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির পাথি, বাঘ, সিংহ, হরিণ, কুমির, ভাল্লুকসহ প্রায় ৬৫ প্রজাতির প্রাণী।

মাঝে বাঘ, সিংহসহ নানা রকম পশুর অভাব ও নানা কারণে শ্রীহীন হয়ে গিয়েছিল চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। পরে এ চিড়িয়াখানার শ্রী ফেরাতে নানা রকম উদ্যোগ নেয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।

চিড়িয়াখানার চিকিৎসক ও ডেপুটি কিউরেটরের দায়িত্বে থাকা শাহাদাৎ হোসেন শুভ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চিড়িয়াখানার পশ্চিম পাশে পাহাড়ের নিচে প্রায় ৪৮ হাজার বর্গফুট জায়গা আছে। সেখানে মাটি ভরাট করে তিনটি খাঁচা নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে রাখা হবে ক্যাঙ্গারু, উটপাখি ও এমু পাখিগুলো।

ছয়টি করে উট পাখি ও এমু পাখি এবং চারটি ক্যঙ্গারু আনার পরিকল্পনার কথা জানান শুভ।

শুভ বলেন, প্রাণীগুলো যেন দ্রুত খাঁপ খাইয়ে নিতে পারে সেটি বিবেচনা করেই খাঁচাগুলো নির্মাণ করা হয়েছে।

রুহুল আমিন বলেন, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা দেশের লাভজনক চিড়িয়াখানার একটি। সরকারি কোন অনুদান ছাড়া টিকিটি বিক্রির টাকা দিয়ে এটি পরিচালিত হয়। বাঘ, জেব্রার মতো টিকিট বিক্রির টাকা থেকে চিড়িয়াখানায় আয় হওয়া অর্থ দিয়েই ক্যাঙ্গারু, উটপাখি ও এমুগুলো আনা হবে।

চিড়িয়াখানা কর্মকর্তারা জানান, প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার দর্শনার্থী চিড়িয়াখানায় যায়। এরমধ্যে সাপ্তাহিক ছুটি কিংবা অন্যান্য ছুটিতে তা সাত থেকে ১০ হাজার হয়ে যায়। টিকিট বিক্রির এ টাকা থেকে ২০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী বেতন পরিশোধ, পশু খাদ্য ও উন্নয়ন খরচ বহন করা হয়।

রুহুল আমিন জানান, জেলা প্রশাসকের সম্মতি নেয়ার পর বন ও পরিবশে মন্ত্রনালয়, প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর ও বন বিভাগের ‘অনাপত্তি পত্রের’ জন্য আবেদন করা হবে। সেগুলো হলে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে প্রাণীগুলো সংগ্রহ করা হবে।