চট্টগ্রামের সল্টগোলা এলাকায় এক যুবলীগকর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
Published : 26 Mar 2018, 04:18 PM
সোমবার দুপুরে ওই এলাকার মেহের আফজল উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনায় ঘটে বলে বন্দর থানার ওসি মো. ময়নুল ইসলাম জানিয়েছেন।
নিহত মো. মহিউদ্দিন (৩২) দক্ষিণ-মধ্যম হালিশহর এলাকার বাসিন্দা। তিনি এলাকায় যুবলীগকর্মী হিসেবে পরিচিত।
ওসি ময়নুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মেহের আফজল স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী নিয়ে দুপুরে স্কুলে বৈঠক ছিল। সেখানে যোগ দিতে গিয়েছিল মহিউদ্দিন।
“এসময় স্থানীয় হাজী ইকবালের অনুসারীরা অতর্কিত হামলা চালায়।”
হাজী ইকবাল একসময় বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সাঙ্গঠনিক সম্পাদক ছিলেন। শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য বেশ কয়েক বছর আগে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তবে তিনি নিজেকে আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবেই পরিচয় দিতেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় মহিউদ্দিনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, “তার মাথা, বুক, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে কোপানোর দাগ ছিল এবং পায়ের রগও কেটে গিয়েছিল।”
মহিউদ্দিনের মা নূর সেহের বেগম জানান, দুই ভাইয়ের মধ্যে মহিউদ্দিন ছোটের সল্ট গোলা ক্রসিং এলাকায় তার একটি মোবাইল ফ্লেক্সি লোডের দোকান আছে।
মহিউদ্দিনের চার বছর বয়েসী একটি ছেলে আছে বলেও জানান তিনি।
নূর সেহের বলেন, “সকাল ১০ টার দিকে এলাকায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়েছিল মহিউদ্দিন। দুপুরে সে মেহের আফজল স্কুলে গিয়েছিল। প্রতিবেশী এক যুবক বেলা আড়াইটার দিকে মহিউদ্দিনকে কোপানোর খবর দিলে সবাই বাসা থেকে স্কুলে যায়।”
নিহতের পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি প্রত্যক্ষদর্শীরা এ ঘটনার জন্য হাজী ইকবালকে দায়ী করেছেন।
নিহতের ভাই আবু ইউসুফ বলেন, আগে মহিউদ্দিনের সাথে হাজী ইকবালের সখ্যতা ছিল। কিন্তু হাজী ইকবালের বিভিন্ন কাজের জন্য তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়।
পক্ষ পরিবর্তন করায় হাজী ইকবালের নির্দেশে তাকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তার।
মো. মাঈনুদ্দিন নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, হাজী ইকবাল, তার ছেলে আলী, ভাই মুরাদ ও ভাতিজা মুরাদসহ বেশ কয়েকজন মিলে কুপিয়ে মহিউদ্দিনকে জহম করে।
“লোকজন এগিয়ে যাওয়ায় তারা কয়েকটি মোটরসাইকেল ও একটি মাইক্রো বাসে করে উঠে পালিয়ে যায়।”
স্থানীয়রা জানান, বছরখানেক আগে হাজী ইকবাল মেহের আফজল স্কুলের এক শিক্ষকে ছুরিকাঘাত করেছিল। সেমসয় মহিউদ্দিন ওই স্কুল শিক্ষকের পক্ষ নেওয়ায় হাজী ইকবালের সাথে তার দূরত্ব তৈরি হয়।
সে বিরোধের জেরে মহিউদ্দিন খুন হয় বলে ধারণা স্থানীয়দের।
এ অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে ইকবালকে ফোন করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।