চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের ‘বিজয় মেলার’ ২৯তম আয়োজন শুরু হতে যাচ্ছে ১ ডিসেম্বর থেকে।
Published : 30 Nov 2017, 12:38 PM
বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে ‘মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদ’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এবারের মেলার বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পরিষদের মহাসচিব মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, ২৮ বছর আগে একটি বৈরী সময়ে বিপ্লবতীর্থ চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা শুরু হয়েছিল।
“অনেক প্রতিকূলতা অতিক্রম করে বিজয় মেলা ২৯ বছরে পদার্পণ করতে যাচ্ছে। এই পথ পরিক্রমায় বিজয় মেলা মুক্তিযুদ্ধের অবিনাশী চেতনাকে প্রজন্ম পরম্পরায় পৌঁছে দিতে সারা দেশে বিস্তৃত হয়েছে।”
মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, রাষ্ট্রে ও প্রশাসনে যখনই স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি হামলে পড়েছিল, তখন এই বিজয় মেলা প্রতিবাদ ও দ্রোহের অবলম্বন হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে সপক্ষের শক্তিকে প্রাণিত করেছে।
“অশুভ শক্তি বিজয় মেলার বিরুদ্ধে নানাবিধ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিল। মুক্তিযোদ্ধা-জনতার সম্মিলিত শক্তি সেই প্রতিবন্ধকতাকে অতিক্রম করে বিজয় মেলা বাঙালির ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে।”
প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিজয় মেলা পরিষদের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের মাঝে চার কোটি টাকার ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, “বিজয় মেলার প্রাণপুরুষ ও পরিষদের চেয়ারম্যান এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। চিকিৎসা শেষে সিঙ্গাপুর থেকে ফিরে তিনি ঢাকায় আছেন। তাই আসতে পারেননি।”
নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর উদ্যোগেই ২৯ বছর আগে নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের আউটার স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার যাত্রা শুরু হয়।
এবার ১ ডিসেম্বর আউটার স্টেডিয়ামে মাসব্যাপী পণ্য মেলা শুরু হবে।
১০ ডিসেম্বর বিকালে স্টেডিয়াম সংলগ্ন সড়ক দ্বীপে বিজয় শিখা প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে ১০ দিনব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হবে।
এবার মেলার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ৫ ডিসেম্বর নগরীর লালদীঘি মাঠে অনুর্ধ-১৮ বিজয় ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০১৭ শুরু এবং ১১ ডিসেম্বর কর্ণফুলী নদীতে সাম্পান বাইচের আয়োজন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিজয় মেলা পরিষদের উপ-সচিব বদিউল আলম, মুক্তিযোদ্ধা অমল মিত্র, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল মনসুর, মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর চৌধুরী, আহমুদুর রহমান সিদ্দিকী, আবু তাহের এবং পান্টু লাল সাহা।