দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সংগ্রহ করা এক জোড়া বেঙ্গল টাইগার চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় এসে পৌঁছেছে।
Published : 09 Dec 2016, 03:05 PM
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর মঞ্জুর মোর্শেদ জানিয়েছেন, বাঘটির বয়স ১১ মাস; আর বাঘিনীর ৯। শুক্রবার সকালে এই নতুন দুটি প্রাণী বন্দরনগরীতে পৌঁছায়।
এর মধ্য দিয়ে চার বছর পর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাঘের ‘অভাব’ পূরণ হল বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সকালে চট্টগ্রামে আনার পর বাঘ-বাঘিনীকে ছোট একটি খাঁচায় রাখা হয়। দুপুরে চিড়িয়াখানা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক শামসুল আরেফীন সেগুলোকে বড় খাঁচায় তোলেন।
জেলা প্রশাসক জানান, বেঙ্গল টাইগার প্রজাতির বাঘ ও বাঘিনী চিড়িয়াখানার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার পর সিংহ-সিংহীর মত তাদেরও বিয়ের আয়োজন করা হবে।
চিড়িয়াখানার পশু-পাখির সঙ্গে বাঘ যুক্ত হওয়ায় দর্শক সমাগম আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
২০১২ সালের ৩০ অক্টোবর সর্বশেষ বাঘ পূর্ণিমা ক্যান্সারে মারা গেলে ‘শ্রীহীন’ হয়ে পড়ে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা।
তার আগে ২০০৭ সালের ১১ জুলাই ১০ বছর বয়সী ‘চন্দ্র’ ও ২০০৬ সালের ৩ নভেম্বর ২৩ বছর বয়সী ‘ভীম’ মারা যায়।
এরপর গত ১৯ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এক জোড়া বাঘ আনতে ফ্যালকন ট্রেডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ৩৩ লাখ টাকার চুক্তি হয়।
ফ্যালকন ট্রেডার্সের কর্ণধার সোহেল আহমেদ জানান, প্রিটোরিয়ার ক্যাপটিভ ব্রিডিং প্রতিষ্ঠান ‘মাফুয়ানে গেইম রিসোর্ট’ থেকে বাঘ ও বাঘিনীগুলো সংগ্রহ করা হয়।
বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১২টার দিকে প্রিটোরিয়া বিমান বন্দর থেকে রওনা হয়ে বৃহস্পতিবার ঢাকায় পৌঁছায় বাঘ দুটো। সেখান থেকে সড়ক পথে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আনা হয়।
তিনি বলেন, “দর্শনার্থীরা বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী দেখতে পেলেও বাঘ পাননি এতোদিন। ক্ষুদে দর্শনার্থীদের অন্যতম আকর্ষণ থাকে বাঘের প্রতি। এখন দর্শক সমাগম বাড়বে বলে আমাদের ধারণা।”