ছাত্রলীগনেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’ অভিযোগ তুলে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়মুখী শিক্ষকদের বাস আটকে বিক্ষোভ দেখিয়েছে তার সমর্থক নেতা-কর্মীরা।
Published : 24 Nov 2016, 01:41 PM
বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন পুলের পরিচালক অধ্যাপক শফিউল আযম জানান, বৃহস্পতিবার সকালে নন্দীর হাট জামতল ও নগরীর ষোলশহর এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা শিক্ষকদের বাস আটকে দেয়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “জামতলে শিক্ষকবাস আটকে চালকের কাছ থেকে চাবি নিয়ে নেয় তারা। এসময় এক চালককে তুলেও নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ষোলশহর দুই নম্বর গেইট এলাকায় আরও দুটি বাস থেকে চাবি নিয়ে নেয় তারা।”
একই দাবিতে এর আগে তারা ডেমু ট্রেন ভাংচুর ও শাটল ট্রেন আটকে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল।
ষোলশহর স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে শাটল যোগাযোগ বন্ধ আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন পরিস্থিতে ট্রেন চালকরা তাদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত।
“প্রশাসনও আমাদের নিরাপত্তার ব্যাপারে কিছু বলেনি। সে কারণে সকাল থেকে কোনো শাটল ট্রেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে ছেড়ে যায়নি।”
রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যাবলয়সংলগ্ন বাসায় ঝুলন্ত অবস্থায় দিয়াজের লাশ পাওয়ার পর সোমবারই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হয় ।
বুধবার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে দিয়াজ ‘আত্মহত্যা’ করেছেন বলা হলেও এ প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও ছাত্রলীগ সভাপতিসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছে তার পরিবার।
আদালত মামলা গ্রহণ করে ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডিকে) নির্দেশ দিয়েছে।
দিয়াজের পরিবার ও সমর্থকরা সন্দেহ করছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবন ও শেখ হাসিনা হলের দ্বিতীয় অংশের নির্মাণকাজের টেন্ডার নিয়ে দিয়াজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ সভাপতি আলমগীর টিপুর অনুসারীদের বিরোধে তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।