এক ছাদের নিচে সব ব্যবসার সুযোগ করে দিতে চট্টগ্রামে প্রায় দুইশ কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে তোলা ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার এখন চালুর অপেক্ষায়।
Published : 27 Jan 2016, 06:44 PM
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার ২১তলা এই ট্রেড সেন্টারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন, যে ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল ২০০৬ সালে।
এ উপলক্ষে বুধবার সেন্টারের তৃতীয় তলায় বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে সংবাদ সম্মেলন করে সেন্টারের নানা দিক তুলে ধরে নির্মাতা চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নেতারা।
ভবনের দশম থেকে ২০তলা পর্যন্ত পাঁচ তারকা হোটেলের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ভবনের ২১ তলায় থাকছে হেলিপ্যাড।
বাংলাদেশে প্রথম গড়ে তোলা এই ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার নিউ ইয়র্কভিত্তিক ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য বলে চেম্বার নেতারা জানান।
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিশ্বমানের বন্দরের জন্য বিশ্বমানের শহর দরকার। অবকাঠামো নির্মাণ প্রয়োজন।
“এটা শুধু একটা ভবন নয়, এক ছাদের তলায় ব্যবসার সব সুযোগ করে দিতেই এটি প্রতিষ্ঠা করা। এটা শুধু চট্টগ্রামের জনগণ বা ব্যবসায়ীদের নয় সারাদেশের মানুষের গর্ব।”
সংবাদ সম্মেলনে চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও সাংসদ এম এ লতিফ বলেন, বিশ্বের সব বড় শহরে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার আছে। যুক্তরাষ্ট্রের ১১টি শহরে আছে। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রামে হলো। এটা অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির প্রতীক।
মাহবুবুল আলম জানান, ভবনের চতুর্থ তলায় স্থায়ী এক্সিবেশন হল থাকছে। এখানে ১৩২টি শো কেসে তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, সিরামিকসহ সব ধরনের রপ্তানি পণ্য প্রদর্শন করা হবে।
“অনলাইনে পণ্য দেখেও বিশ্বের যে কোনো দেশের ব্যবসায়ীরা পণ্য কিনতে পারবেন। আরও তিনটি ফ্লোর আছে আমাদের। প্রয়োজনে সেখানেও প্রদর্শনের জন্য পণ্য রাখা হবে।”
ভবন নির্মাণের পুরো খরচ চেম্বারের নিজস্ব তহবিল থেকে সরবরাহ করা হয় বলে চেম্বারের সাবেক সভাপতি লতিফ জানান।
“সভা কক্ষগুলোর নাম চট্টগ্রামের কয়েকটি নদীর নামে করা হবে। বায়িং এজেন্সি, ব্যাংকসহ সব ধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠান থাকবে এখানে।”
হেলিপ্যাড নিয়ে আলোচনায় চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম জানান, ব্যবসায়ীদের দ্রুত যাতায়াতের জন্য চেম্বারের পক্ষ থেকে একটি হেলিকপ্টার কিনবেন তারা।
ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের প্রধান প্রকৌশলী এএসএম নাসিরুদ্দিন চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ৯১ মিটার উঁচু ভবনে ১১টি লিফট, পাঁচ জোড়া এস্কেলেটর, আটটি জরুরি নির্গমন পথ, সিসি ক্যামেরা ও অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা রয়েছে।