আটাশ বছর নৌবহরে সেবার দেওয়ার পর অবসরে (ডি-কমিশনিং) গেল বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তেলবাহী জাহাজ বিএনএস খানজাহান আলী।
Published : 24 Aug 2015, 05:45 PM
সোমবার চট্টগ্রাম নৌ জেটিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ জাহাজটিকে বিদায় জানানো হয়।
ডি-কমিশনিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল আখতার হাবিব বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনী ত্রি-মাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠার যুগ সন্ধিক্ষণে নৌবহর থেকে বিদায় নিচ্ছে বিএনএস খানজাহান আলী।
“খুব শিগগিরই দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এর চেয়ে আরও বড় জাহাজ একই নামে এটির স্থলাভিষিক্ত হবে।”
আগামী বছর নৌবহরে সাবমেরিন যুক্ত হবে জানিয়ে রিয়ার এডমিরাল হাবিব বলেন, সরকারের বিশেষ সুদৃষ্টি পেয়ে নৌবাহিনী নিজের সক্ষমতাকে ক্রমশ সম্প্রসারিত করছে।
বিএনএস খান জাহান আলী কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, উত্তাল সাগরে নৌসদস্যদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি তেল পরিবহনে বিরাট ভূমিকা পালন করেছে বাংলাদেশের সর্বপ্রথম ও সর্ববৃহৎ এ জাহাজ।
জাপানের সেটোডা ডকইয়ার্ডে নির্মিত জাহাজটি প্রথমে বিআইডব্লিউটিএ’র জন্য কেনা হয়েছিল।
১৯৮৩ সালে নৌবাহিনীর কাছে জাহাজটি হস্তান্তরের পর ১৯৮৭ সালের ১৪ জুলাই এটাকে কমিশনিং করা হয়। এরপর থেকে নৌবাহিনীতে জাহাজটি ফ্লিট ওয়েল ট্যাংকার হিসেবে যাত্রা শুরু করে।
জাহাজটি মূলত রাষ্ট্রায়াত্ত তেল কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা হতে তেল সংগ্রহ করে তা নৌবাহিনীর জাহাজগুলোতে সরবরাহের কাজ করত। পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের কাজও করত জাহাজটি।
এছাড়াও সমুদ্রে চোরাচালান, মৎস্য চুরি রোধ এবং সামুদ্রিক মহড়ায় অংশ নিয়েছে বিএনএস খানজাহান আলী।
৭৬ মিটার দীর্ঘ জাহাজটি ২৬ লাখ ৫৬ হাজার ৮৮২ লিটার তেল ও এক হাজার ৬০০ টন বিশুদ্ধ পানি পরিবহনে সক্ষম।