জামিন নাকচ হওয়ার পর সাড়ে ৩ ঘণ্টা তার প্রিজন ভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ দেখান অনুসারীরা।
Published : 26 Nov 2024, 06:16 PM
চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে কারাগারে নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মঙ্গলবার বেলা পৌনে ৩টার দিকে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে সক্ষম হয় তারা।
এদিন আদালত জামিন নামঞ্জুর করে চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়ার পর বিক্ষোভ করে সনাতনী সম্প্রদায়ের লোকজন।
সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধসহ আট দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দিয়ে আসা চট্টগ্রাম পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে সোমবার ঢাকা বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
এরপর রাত থেকে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে তাকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়।
আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়ার পর বিক্ষোভ করে সনাতনী সম্প্রদায়ের লোকজন। সোয়া ১২টার দিকে চিন্ময় ব্রহ্মচারীকে পুলিশ-বিজিবি-এপিবিএন সদস্যদের পাহারায় আদালত ভবন থেকে নামিয়ে নিচে রাখা প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়।
এসময় সনাতন সম্প্রদায়ের বিক্ষুব্ধ লোকজনপ্রিজন ভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করে। এ বিক্ষোভে সাধারণ লোকজনের পাশাপাশি সাধু সন্তুদেরও দেখা যায়।
তারা জয় শ্রী রাম স্লোগানের পাশাপাশি 'চেয়ে ছিলাম অধিকার, পেয়ে গেলাম কারাগার', ‘কথায় কথায় বাংলা ছাড়, বাংলা কি তোর বাপ দাদার, ‘এক দুই তিন চার, সব শালারা বাটপার’ স্লোগান দিতে থাকেন। এসময় অনেকে শঙ্খ ধ্বনি দেয়।
এদিকে বেলা দেড়টার দিকে বিজিবি-পুলিশ বাঁশি দিয়ে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে বিক্ষোভকারীরা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দেওয়া শুরু করে।
বেলা পৌনে ৩টার দিকে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়লে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এসময় পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়লে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে দিগদ্বিক ছোটাছুরি শুরু করে। আদালত ভবন থেকে নেমে আসার সময় তারা সড়কের দুই পাশে রাখা মোটরসাইকেল ভাংচুর করে এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
বিক্ষোভকারীদের আদালত ভবন থেকে সড়িয়ে দিয়ে চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীকে পুলিশের একটি গাড়িতে করে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় বিক্ষোভকারীরা মহল মার্কেটের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গিয়ে তাদের লাঠিচার্জ করে এবং টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে।
বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া আইনজীবী-কর্মচারীদের
বিক্ষোভকারীরা আদালত ভবন থেকে নামার সময় তাদের ছোড়া ইটে মসজিদ কমপ্লেক্সের ভবনের দ্বিতীয় তলায় আইনজীবীদের চেম্বারের গ্লাস ভেঙে যায়। এসময় আইনজীবী, কর্মচারী ও দোকানিরা বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে।
এদিকে আইনজীবী এবং সাধারণ লোকজন জড়ো হয়ে বিপরীতে হরিজন পাড়ায় ধাওয়া করে। এসময় থেমে থেমে দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় আহত অবস্থায় কয়েকজনকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন