মঙ্গলবার রাতের ওই দুর্ঘটনায় আরও চারজন এখনও নিখোঁজ।
Published : 13 Oct 2022, 02:07 PM
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে মাছ ধরার ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ সাতজনের মধ্যে তিনজনের মরদেহ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে দুটি এবং বুধবার গভীর রাতে একটি মরদেহ উদ্ধার হয় বলে জানিয়েছে নৌ পুলিশ।
কর্ণফুলী থানার ইছানগর সি-রিসোর্স ডকইয়ার্ডের ঘাটের কাছে মঙ্গলবার রাতে ‘এফভি মাগফেরাত’ নামের মাছ ধরার ট্রলারটি নদীতে ডুবে যায়। ট্রলারে থাকা সাতজন নিখোঁজ হন তখন।
এখন পর্যন্ত ট্রলারের চিফ অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন ফারুক বিন আব্দুল্লাহ ও ডক মেম্বার রহমত মিয়ার মরদেহ পাওয়া গেছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান নৌ পুলিশের ওসি মো. একরাম উল্লাহ।
তিনি বলেন, “গভীর রাতে ব্রিজঘাট এলাকায় একজনের এবং সকালে পদ্মা-মেঘনা-যমুনা অয়েল সংলগ্ন অংশে ও ডাঙারচর এলাকার অন্য দুজনের মরদেহ পাওয়া গেছে। স্রোতের সাথে মরদেহগুলো মোহনার দিকে ভেসে এসেছিল।”
ডুবে যাওয়া অন্যদের সন্ধানে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এখনো কাজ করছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান ফায়ার সার্ভিসের লিডার মো. হানিফ মিয়া।
তিনি বলেন, বুধবারও ডুবুরি দল উদ্ধার কাজে নেমেছিলেন, কিন্তু স্রোতের কারণে তাদের কাজ বিঘ্নিত হয়।
ট্রলারের সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার জহিরুল ইসলাম, গ্রিজার প্রদীপ চৌধুরী, ফিশ মাস্টার মো. জহির উদ্দিন এবং অন্য একজন নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধান বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত মেলেনি।
র্যাঙ্কন কোম্পানির মালিকানাধীন ‘এফভি মাগফেরাত’ নামের স্টিল বডি ট্রলারটি সংস্কারের জন্য তাদের নিজম্ব ডকইয়ার্ড সি-রিসোর্স ঘাটে বাঁধা ছিল।
মঙ্গলবার রাতে ডক প্রকৌশলী ও শ্রমিকদের উপস্থিতিতে ট্রলারটি ইয়ার্ডে তোলার সময় পাখা (প্রপেলার) খুলে গেলে নৌযানটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। এসময় ঘাটে নোঙর করে রাখা অন্যান্য ফিশিং বোট ও বয়ার সাথে ধাক্কা লেগে কাত হয়ে ডুবে যায় ট্রলারটি।
ট্রলারের নিয়মিত লোকজনের পাশাপাশি ইয়ার্ডের শ্রমিকরাও তখন সেখানে ছিলেন। ট্রলারটি ডুবে যাওয়ার পর কয়েকজন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও সাতজন ডুবে যান।