রিপনকে পাঁচ দিন ও বাকি তিনজনকে চার দিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।
Published : 10 Dec 2024, 08:05 PM
চট্টগ্রামে আদালত এলাকায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার রিপন দাশসহ চার আসামিকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।
চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আলমগীর হোসেন মঙ্গলবার রিমান্ড আবেদনের শুনানি নিয়ে আদেশ দেন।
আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রিপন দাশ, বিশাল দাশ, আমান দাশ ও রাজীব ভট্টাচার্য্যের সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। শুনানি নিয়ে রিপনের পাঁচ দিন ও বাকি তিনজনকে চার দিন জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন বিচারক।
আলোচিত এ হত্যা মামলায় এর আগে প্রধান আসামি চন্দন দাসকে সাত দিন এবং রিপন দাশকে পাঁচ দিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এর মধ্যে চন্দন দাস সোমবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
পুলিশের ভাষ্য, হত্যাকাণ্ডের দিন একটি ছবিতে যে ব্যক্তিকে কিরিচ হাতে দেখা গেছে, তিনিই চন্দন। তিনি ‘হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছিলেন’। আর রিপন দাশকে ওই ছবিতে হাতে বটি ছাড়াও নীল গেঞ্জি, হেলমেট, জিন্স প্যান্ট পরা দেখা গেছে।
চন্দন ও রিপনসহ মামলাটিতে এ পর্যন্ত মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীর জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশের পর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে প্রিজন ভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ করে সনাতনী সম্প্রদায়ের লোকজন। আড়াই ঘণ্টা পর পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে চিন্ময় দাশকে কারাগারে নিয়ে যায়।
বিক্ষোভকারীরা আদালত সড়কে রাখা বেশ কিছু মোটরসাইকেল ও যানবাহন ভাঙচুর করে। এরপর আদালতের সাধারণ আইনজীবী ও কর্মচারীরা মিলে তাদের ধাওয়া করে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে রঙ্গম কনভেনশন হল সড়কে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় ২৯ নভেম্বর চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানায় আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫/১৬ জনকে আসামি করা হয়।
আইনজীবীদের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন আলিফের ভাই খানে আলম, যেখানে ১১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এর বাইরে আদালত এলাকায় সংঘর্ষ, ভাংচুর ও পুলিশের কাজে বাধার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করেছে। ওই তিন মামলায় মোট ৭৬ জনের নামসহ অজ্ঞাত ১ হাজার ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আদালত এলাকায় সহিংসতার ঘটনায় সবশেষ ৩ ডিসেম্বর মোহাম্মদ উল্লাহ নামের এক ব্যক্তি ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ ২৯ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেন।
পুরনো খবর-
চট্টগ্রামে আদালতে সহিংসতা: ৮ আসামি ৫ দিনের রিমান্ডে
আইনজীবী হত্যা: চন্দন দাসের জবানবন্দি
আইনজীবী হত্যা: চন্দন ৭, রিপন ৫ দিনের রিমান্ডে
আইনজীবী হত্যায় চট্টগ্রামে আরেকজন গ্রেপ্তার