এ পর্যন্ত মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
Published : 06 Dec 2024, 04:32 PM
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার চন্দন দাসকে ৭ দিনের এবং রিপন দাশকে ৫ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম কাজী শরিফুল ইসলাম।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের এডিসি (প্রসিকিউশন) মফিজুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "দুজনের ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হলে আদালত চন্দন দাসের ৭ দিন এবং রিপন দাশের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।"
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা থেকে রিপন দাশকে (২৭) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) তারেক আজিজ জানিয়েছিলেন, রিপন দাশ আইনজীবী হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি নয়। তবে হত্যাকাণ্ডের ফুটেজে নীল গেঞ্জি পরিহিত রিপনকে বটি হাতে দেখা গেছে। প্রাপ্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আনোয়ারায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালী পুলিশ।
গ্রেপ্তার রিপন কোতয়ালী থানার পাথরঘাটা এলাকার হরিশ চন্দ্র লেইনের মৃদুল দাসের ছেলে বলে পুলিশের ভাষ্য। তিনি নগরীর চকবাজার এলাকায় একটি ওষুধের দোকানে চাকরি করতেন।
নগর পুলিশের পাঠানো ছবিতে দেখা যায়, গ্রেপ্তার হওয়া রিপন আইনজীবী হত্যাকাণ্ডের দিনে হাতে বটি ছাড়াও নীল গেঞ্জি, হেলমেট, জিন্স প্যান্ট পরিহিত ছিলেন।
এর আগে হত্যাকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে বুধবার রাতে ভৈরব থেকে চন্দন দাসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ, যাকে এই ঘটনার প্রধান আসামি বলা হচ্ছে।
পুলিশের ভাষ্য, হত্যাকাণ্ডে যে ব্যক্তি কিরিচ হাতে অংশ নিয়েছিলেন, তিনিই চন্দন।
এর আগে সোমবার এই হত্যা মামলায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার দেখাতে পুলিশ আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে। চন্দন, রিপনসহ এ পর্যন্ত মোট ১১ জন এ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হলো।
গত ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীর জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশের পর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে প্রিজন ভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ করে সনাতনী সম্প্রদায়ের লোকজন। আড়াই ঘণ্টা পর পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে চিন্ময় দাশকে কারাগারে নিয়ে যায়।
বিক্ষোভকারীরা আদালত সড়কে রাখা বেশ কিছু মোটরসাইকেল ও যানবাহন ভাঙচুর করে। এরপর আদালতের সাধারণ আইনজীবী ও কর্মচারীরা মিলে তাদের ধাওয়া করে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে রঙ্গম কনভেনশন হল সড়কে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় ২৯ নভেম্বর চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানায় আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫/১৬ জনকে আসামি করা হয়।
আইনজীবীদের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন আলিফের ভাই খানে আলম, যেখানে ১১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এর বাইরে আদালত এলাকায় সংঘর্ষ, ভাংচুর ও পুলিশের কাজে বাধাদানের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করেছে। ওই তিন মামলায় মোট ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আদালত এলাকায় সহিংসতার ঘটনায় সবশেষ গত মঙ্গলবার মোহাম্মদ উল্লাহ নামের এক ব্যক্তি ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ ২৯ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেছেন।
আরও পড়ুন:
আইনজীবী হত্যায় চট্টগ্রামে আরেকজন গ্রেপ্তার
আইনজীবী হত্যার প্রধান আসামি চন্দন কিশোরগঞ্জে গ্রেপ্তার
আইনজীবী হত্যা: গ্রেপ্তার আরও ৮
চিন্ময় গ্রেপ্তার: চট্টগ্রামে সহিংসতার ঘটনায় আরো এক মামলা, আসামি ২৯
চট্টগ্রামে সংঘাতের ঘটনায় তিন মামলা
চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যায় ৩১ জনের বিরুদ্ধে মামলা
আইনজীবী হত্যা: ভিডিও দেখে গ্রেপ্তার এক ব্যক্তির নাম প্রকাশ
চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যায় ৩১ জনের বিরুদ্ধে মামলা
চট্টগ্রামে সহিংসতার ঘটনায় আটক ৩০