আমদানি পণ্যের জন্য আগে থেকেই পাঁচটি স্ক্যানার ছিল।
Published : 17 Feb 2024, 08:27 PM
রপ্তানি পণ্যের কনটেইনারের জন্য চট্টগ্রাম বন্দরের চার নম্বর ও সিপিএআর গেইটে দুটি স্ক্যানার বসানো হয়েছে।
শনিবার দুপুরে স্ক্যানার দুটি উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
এরপর স্ক্যানার দুটি চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মদ ফাইজুর রহমানের কাছে হস্তান্তর করেন বন্দরের পরিচালক (নিরাপত্তা) লে. কর্নেল মোস্তফা আরিফুর রহমান খান। কাস্টমস হাউস স্ক্যানার দুটির বাণিজ্যিক ব্যবহার করবে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী এনবিআর চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছিলেন সব বন্দরে স্ক্যানার বসাতে হবে। তার আন্তরিকতায় অনেক স্ক্যানার বসানো হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরে রপ্তানি পণ্যের জন্য দুইটি স্ক্যানার বসানোর খবর শুনে প্রধানমন্ত্রী খুশি হবেন।
“আগে চট্টগ্রাম বন্দরে মূলত আমদানি পণ্যবাহী কনটেইনার স্ক্যানিংয়ের জন্য পাঁচটি স্থায়ী স্ক্যানার ছিল। নতুন স্থায়ী দুটি স্ক্যানার দিয়ে রপ্তানি পণ্যের কনটেইনার স্ক্যানিং হবে। আগে দুটি ভ্রাম্যমাণ স্ক্যানার দিয়ে অনিয়মিতভাবে রপ্তানি পণ্য স্ক্যানিং করা হত।”
বন্দরের পরিচালক (নিরাপত্তা) মোস্তফা আরিফুর জানান, বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নে ৮৫ কোটি ৮৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকায় কেনা স্ক্যানার দুটি ঘণ্টায় ১৫০ কনটেইনার স্ক্যান করতে পারবে। কনটেইনারে থাকা জৈব, অজৈব ও মধ্যবর্তী উপাদান নির্দিষ্ট রঙে চিহ্নিত করতে পারে স্ক্যানার দুটি।
তিনি বলেন, “ট্রেইলার চালক সরাসরি স্ক্যানিং টানেলের মধ্য দিয়ে গাড়ি চালাতে পারবে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে কনটেইনার স্ক্যান হয়ে যাবে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্ক্যানার নম্বরও শনাক্ত করা যাবে স্ক্যানারে। স্ক্যানারটিতে রেডিও অ্যাকটিভ হওয়ায় তেজস্ক্রিয় পদার্থও শনাক্ত করা যাবে এটি দিয়ে।’’
বন্দর কর্মকর্তারা জানান, স্ক্যানারের মাধ্যমে ঝুঁকিযুক্ত পণ্যের চালান চিহ্নিত করা যাবে। বন্দরের নিরাপত্তাসংক্রান্ত ব্যবস্থা বা আইএসপিএস কোডের (জাহাজ ও বন্দর স্থাপনার নিরাপত্তাঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম) আওতায় রপ্তানি পণ্য স্ক্যানিংয়ের জন্য নতুন স্ক্যানার দুটি বসানো হয়েছে।
২০০৪ সালে বাংলাদেশ এই কোড বাস্তবায়ন শুরু করে। এর আওতায় রপ্তানি পণ্য স্ক্যানিংয়ের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েলের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার ফাইজুর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার সভাপতি খলিলুর রহমান, বন্দর সচিব ওমর ফারুক।