ই-কমার্সের মাধ্যমে হস্তশিল্পের পণ্য দেশে-বিদেশে বাজারজাত করতে চায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
Published : 15 Feb 2024, 09:16 PM
চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে মাসব্যাপি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ড মাঠে এ মেলা উদ্বোধন করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
আগামী বছর থেকে এ মেলায় যাতে দেশীয় হস্তশিল্পের জন্য আলাদা স্থান রাখা হয়, সেই ব্যবস্থা নিতে আয়োজকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, “আগামী বাণিজ্য মেলায় আপনারা একটি বিশেষ সেকশন রাখবেন, যেটা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকবে।
“সেখানে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা ও গ্রাম থেকে হস্তশিল্প আমরা এখানে প্রদর্শন করব, যেটা আগামীতে বিদেশে রপ্তানি করতে পারব।”
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী টিটু বলেন, “গত ২১ জানুয়ারি ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় প্রধানমন্ত্রী এ বছর হস্তশিল্পকে ‘বর্ষপণ্য’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এখানে অনেক নারী উদ্যোক্তা আছেন, তাদেরকে নিয়ে আগামী মেলায় আমরা হস্তপণ্য শিল্পকে গুরুত্ব দিব।
“বিশেষ করে আগামী এক বছর আমরা ‘একটি গ্রাম একটি পণ্য’ এ স্লোগানে প্রতিটি গ্রাম থেকে গ্রামের ঐতিহ্যবাহী পণ্য ও খাদ্য এ দুটোকে তুলে এনে উপজেলা, জেলা ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ পণ্যগুলোকে আমরা বাজারজাতের ব্যবস্থা করব।”
ই-কমার্সের মাধ্যমে এসব পণ্য দেশে ও বিদেশে বাজারজাত করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
টিসিবি কার্যক্রমের সুবিধাভোগীদের তালিকা যাচাইয়ের জন্য চট্টগ্রামের সংসদ সদস্যদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “টিসিবি’র এমন ডিলার নিয়োগ দিবেন, যাতে সুবিধাভোগীদের রাস্তায় দাঁড়িয়ে ট্রাকে লাইন ধরে মাঠে গিয়ে পণ্য নিতে না হয়। একটা নির্দিষ্ট স্থানে নির্দিষ্ট দোকানে তাদের সময় মতো এসে টিসিবির এ পণ্যটা সংগ্রহ করতে পারেন।”
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বক্তব্য দেন।
খেলার মাঠে মেলা আয়োজন নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনার জবাবে চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম এ লতিফ বলেন, “অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন খেলার মাঠে মেলা কেন? এটা ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ফেয়ার কি না? আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, ইন্টারন্যাশনাল ফেয়ার মানে বিদেশি পার্টিসিপেন্ট আসা নয়। আমার দেশীয় প্রোডাক্ট আমি প্রমোট করব। আপনারা সাংহায়, ওয়াজুতে গিয়ে দেখেন তাদের মেলাগুলো কেমন।”
এফবিসিসিআই সভাপতি ও চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, “এ মেলার বয়স ৩১ বছর, এখন পুরোপুরি যৌবনে। এখন এ মেলার জন্য পার্মেনান্ট ভেন্যু দরকার। আশা করছি আগামী দুই বছরের মধ্যে এটা আমরা করতে পারব।”
চট্টগ্রাম চেম্বারের বর্তমান সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন, “আমাদের স্থায়ী কোনো ভেন্যু না থাকায় নির্দিষ্ট তারিখে মেলা আয়োজন করতে পারি না। অনেকের সাথে আলোচনা করলেও তারিখ নির্ধারণ করতে পারি না।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মেলা আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান ও চেম্বার পরিচালক এ কে এম আকতার হোসেন, চট্টগ্রামের ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার রাজীব রঞ্জন।
এবারের মেলায় ৪০০টি স্টলে ৩০০টির বেশি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলবে। দর্শনার্থীদের জন্য টিকেটের দাম ২০ টাকা ঠিক করা হয়েছে।
বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান ছাড়াও ভারত, থাইল্যান্ড ও ইরানের প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিয়েছে।