“গ্রেপ্তার আরাফাত মামুন হত্যাকাণ্ডের হোতা এবং তিনিই ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করেছিলেন।”
Published : 06 Mar 2025, 01:09 PM
চট্টগ্রামের রাউজানে ‘চাঁদার জন্য’ ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে পুলিশের ভাষ্য।
ওই খুনের ঘটনায় বুধবার রাতে গরীব উল্লাহপাড়া থেকে আরাফাত মামুন ও বিপ্লব বড়ুয়া নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে পাঁচ রাউন্ড গুলি ভর্তি রিভলবার, একটি রামদা, একটি দেশি এলজি ও দুইটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সনতু বলেন, হত্যাকাণ্ডস্থল এবং আশপাশের সিসি ক্যামেরার ভিডিও এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তারা নিশ্চিত হয়েছেন, মামুনই হত্যাকাণ্ডের হোতা এবং খুনে অংশ নিয়েছিলেন। তিনিই ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করেছিলেন।
পুলিশ সুপার বলেন, মামুন পূর্ব গুজরা ইউনিয়নের গরীব উল্লাহপাড়ায় তার মামার বাড়িতে সহযোগী বিপ্লবকে নিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন। গ্রেপ্তারের সময় তিনি পুলিশকে গুলি করার চেষ্টা করেন এবং ঘরের পেছনের দরজা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন।
পুলিশ কর্মকর্তা সাইফুল বলেন, “আমরা ভিকটিমের পরিবারের সাথে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছে, বিভিন্ন সময়ে ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু কত টাকা সেটা তারা বলেনি।”
গত ২৪ জানুয়ারি রাউজানের নোয়াপাড়া ইউনিয়নে দুর্বৃত্তদের গুলিতে খুন হয় ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম। প্রতি শুক্রবারের মত সেদিনও গ্রামের বাড়িতে জুমার নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন তিনি।
মসজিদের কাছে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা অস্ত্রধারীরা তার ওপর হামলা চালায়। মোটর সাইকেল থেকে পড়ে যাওয়ার পর জাহাঙ্গীরকে গুলি করা হয়। এ ঘটনায় আরও একজন গুলিবিদ্ধ হয়।
হত্যাকারীদের রাজনৈতিক পরিচয় জানতে চাইলে পুলিশ সুপার সাইফুল বলেন, “অপরাধীদের কোনো দল নেই। কিন্তু প্রত্যেক অপরাধী রাজনৈতিক আশ্রয় চায়। সে হিসেবে তারা আশ্রয় নেয়।”
রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। মামলায় চট্টগ্রাম নগরী থেকে ঘটনায় সম্পৃক্ততা সন্দেহে দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।”
সবমিলিয়ে মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
রাউজানে ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা