এই বাহন সড়কটিতে যান্ত্রিক যানবাহনের গতি কমিয়ে দিচ্ছে বলে ভাষ্য পুলিশের।
Published : 07 May 2024, 07:50 PM
সড়কে ‘গতি’ আনতে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানহাট ব্রিজ থেকে বারিক বিল্ডিং পর্যন্ত সড়কে আবারও রিকশা চলাচল বন্ধ করতে চায় ট্রাফিক বিভাগ।
আগামী ১ জুন থেকে সেটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মাসুদ আহম্মদ।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এ সড়কটি চট্টগ্রাম নগরীর অন্যতম একটি ব্যস্ত সড়ক। সড়কটিতে যান্ত্রিক যানবাহনের ধীরগতির অন্যতম একটি কারণ রিকশা। ওই সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধ থাকলে গাড়ির গতি বাড়বে। ফলে যানজটও কমতে থাকবে।
সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধের প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
অতিরিক্ত কমিশনার মাসুদ বলেন, “রিকশা বন্ধের বিষয়টি নিয়ে আমরা কথা বলেছি। তা কীভাবে বাস্তবায়ন করব, সেটা নিয়ে সিটি করপোরেশনের সাথে আলোচনা চলছে। তারা স্টেক হোল্ডারদের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করবে।
“উদ্যোগটি বাস্তবায়িত হলে আগামীতে লালখান বাজার কিংবা জিইসি থেকে টাইগার পাস পর্যন্ত রিকশা চলাচল বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হবে।”
পুলিশ কর্মকর্তা মাসুদ বলেন, এ সড়কটিতে রিকশা চলাচল বন্ধ হলে মানুষ গণপরিবহন ব্যবহারে অভ্যস্ত হবে। পাশাপাশি সড়কটিতে যারা রিকশা নিয়ে মালামাল আনা-নেওয়া করে তারা সকালে এবং রাতে তা পরিবহন করবে।
এর আগে ২০১৯ সালের শেষ দিকেও সড়কটিতে রিকশা চলাচল বন্ধ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কিছুদিন এ নিয়ম চলার পর পুনরায় রিকশা চলাচল শুরু হয়।
নগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের (পশ্চিম) উপ-কমিশনার তারেক আহমদ বলেন, “২০১৯ সালে রিকশা বন্ধের উদ্যোগটি আমরা ভালো ভাবেই এগিয়ে গিয়েছিলাম। পরের বছরের শুরুতে কোভিড মহামারীর কারণে সড়কে যান চলাচল এমনিতেই বন্ধ ছিল।
“এরপর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কাজের কারণে সড়কটি সংকুচিত হয়ে গিয়েছিল। তাই ওই উদ্যোগটি আর বেশিদিন চালু রাখা যায়নি। তবে এবারের উদ্যোগটি চলমান থাকবে।”
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের হিসাবে, চট্টগ্রাম নগরীতে নিবন্ধিত রিকশার সংখ্যা ৭০ হাজার ১ টি। কিন্তু গত বছরের ১৭ মে থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডিজিটাল লাইসেন্স নবায়ন কার্যক্রমে নিবন্ধন করা হয়েছে মাত্র ২১ হাজার ৩১৮টি লাইসেন্স। বাকিগুলো নবায়ন করেনি।
এদিকে ৭০ হাজার নিবন্ধন থাকলেও চট্টগ্রাম নগরীতে তিন লাখেরও বেশি রিকশা চলাচল করে বলে জানায় ট্রাফিক বিভাগ ও সিটি করপোরেশন।