বিশেষজ্ঞ কমিটি বলেছে, আসন্ন বর্ষায় সুফল পেতে হলে আগামী ৩০ মে’র মধ্যে কাজগুলো শেষ করতে হবে।
Published : 19 Mar 2025, 08:09 PM
বর্ষায় জলাবদ্ধতা সহনীয় পর্যায়ে রাখতে মে মাসের মধ্যে দশটি খাল ও ছড়া পরিষ্কার করতে বলেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) বিশেষজ্ঞ কমিটি।
বুধবার বিকেলে নগর ভবনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশেনের মেয়রের কাছে প্রতিবেদন তুলে ধরে মোট ৮টি করণীয়র কথা জানায় কমিটি।
এর আগে ২ সপ্তাহ খালগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করে তারা।
বুধবার নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী ড্রেনেজ বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন।
বিশেষজ্ঞ কমিটি জরুরি ভিত্তিতে যে ১০টি ছড়া ও খাল খননের সুপারিশ করেছে সেগুলো হলো- চাক্তাই খাল, মহেশ ডাইভারশন খাল, মহেশ খাল, বদর খালী খাল, জামালখান খাল, রুমঘাটা জেলে পাড়া ছড়া, দেবপাহাড় ছড়া, চট্টেশ্বরী খাল, হিজড়া খাল ও বাদুড়তলা ছড়া।
পাশাপাশি কর্ণফুলী নদীর সঙ্গে যুক্ত খালগুলোর মুখ খনন ও পরিষ্কার করা, বাড়ইপাড়া ডাইভারশন খালের সঙ্গে রাজাখালী খাল যুক্ত করা, আগ্রাবাদের শেখ মুজিব সড়কের বক্স কালভার্ট পরিষ্কার করা, খালের ভেতরে বালুর ফাঁদ বা সিল্টট্র্যাপ স্থাপন করার সুপারিশ করে কমিটি।
এছাড়া সুপারিশের মধ্যে আছে- খাল ও নালা থেকে ভাসমান ময়লা-আবর্জনা ও প্লাস্টিক অপসারণে প্রতিবন্ধকতা দূর করা এবং নগরীর কাট্টলীতে রাসমণি ঘাটে স্লুইসগেট বা জলকপাট নির্মাণ করতে হবে।
নগরীর উত্তর কাট্টলীর নাজির খালের জলকপাট সংস্কার করা জরুরি বলে মত দেয় কমিটি।
বিশেষজ্ঞ কমিটি জানায়, আসন্ন বর্ষায় সুফল পেতে হলে আগামী ৩০ মে’র মধ্যে কাজগুলো শেষ করতে হবে।
প্রতিবেদনে এসব কাজ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দিয়ে করার সুপারিশ করা হয়েছে।
জলাবদ্ধতা নিরসনে সিডিএর চলমান প্রকল্পে বেশ কিছু অসংগতি ধরা পড়েছে জানিয়ে সভায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, “বিশেষজ্ঞ দলের সুপারিশ অনুযায়ী ইতিমধ্যে খাল খনন ও পরিষ্কারের কাজ শুরু করা হয়েছে। সেবা সংস্থাগুলোর সঙ্গেও সুপারিশগুলো নিয়ে বসেছি। তারাও আন্তরিকতা দেখিয়েছেন।
“সিডিএর প্রকল্পে ৫৭ খালের মধ্যে ২১টি বাদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। না হলে জলাবদ্ধতা সমস্যা দূর হবে না।”
বিশেষজ্ঞ দলের নেতৃত্বে থাকা প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, “মেয়রের অনুরোধে অস্ট্রেলিয়ার কর্মস্থল থেকে ছুটি নিয়ে মার্চে চট্টগ্রামে এসেছি। এই সময়ে নগরের খাল, নালা, নর্দমাগুলো ঘুরে দেখেছি এবং নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি। এর ভিত্তিতে জলাবদ্ধতা নিরসনে স্বল্প মেয়াদে করণীয় নির্ধারণ করেছি।”
সভায় বক্তব্য দেন সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার, সিটি করপোরেশনের মেয়রের উপদেষ্টা ও পরিবেশকর্মী শাহরিয়ার খালেদ।