চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় এল ক্যাঙ্গারু ও লামা

কিছু দিনের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা হচ্ছে এক জোড়া সিংহ, চার জোড়া ওয়াইল্ড বিস্ট ও লাল-সবুজ তিন জোড়া ম্যাকাও পাখি। 

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Oct 2022, 01:43 PM
Updated : 21 Oct 2022, 01:43 PM

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার প্রাণী পরিবারে যুক্ত হল ক্যাঙ্গারু ও লামা।

হল্যান্ড থেকে আনা তিন জোড়া করে ক্যাঙ্গারু ও লামা শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় পৌঁছায়। কিছু দিনের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা হচ্ছে এক জোড়া সিংহ, চার জোড়া ওয়াইল্ড বিস্ট ও লাল-সবুজ তিন জোড়া ম্যাকাও পাখি। 

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি কিউরেটর ও চিকিৎসক শাহাদাত হোসেন শুভ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, চিড়িয়াখানার নিজস্ব তহবিল থেকে এক কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে এসব প্রাণী আনা হচ্ছে।

ক্যাঙ্গারু ও লামাগুলোর মধ্যে চারটি করে নারী ও দুটি পুরুষ। আগামী ১৫ দিন প্রাণীগুলো থাকবে কোয়ারেন্টিনে। এ সময় পর্যন্ত প্রাণীগুলোর দায়-দায়িত্ব আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের। পরে সেগুলো চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বুঝে নেবে বলে জানান শুভ। 

তিনি বলেন, চিড়িয়াখানায় পুরনো একটি খাঁচা সংস্কার করে ক্যাঙ্গারুগুলো রাখা হয়েছে। আর লামার জন্য নতুন করে একটি খাঁচা তৈরি করা হয়েছে।

নতুন আনা প্রাণীগুলো দর্শনার্থীদের বিনোদন বাড়াবে বলে আশা করছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ফ্যালকন ট্রেডার্সের মালিক মো. সোহেল আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, হল্যান্ডের ক্যাপটিভ ব্রিডিং প্রতিষ্ঠান ‘ম্যান ইন টিভেল্ড’ থেকে ক্যাঙ্গারু ও লামাগুলো সংগ্রহ করেছেন তারা। বৃহস্পতিবার বিকালে কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে সেগুলো ঢাকায় পৌঁছায়।

১৯৮৯ সালে বন্দরনগরীর ফয়’স লেক এলাকায় ছয় একর জায়গা নিয়ে গড়ে ওঠে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধায়নে পরিচালিত এ চিড়িয়াখানায় বর্তমানে বাঘ, সিংহ, হরিণ, কুমির, ভাল্লুকসহ প্রায় ৭০ প্রজাতির প্রাণী রয়েছে।

কর্মকর্তাদের দাবি, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা দেশের লাভজনক চিড়িয়াখানার একটি। সরকারি কোনো অনুদান ছাড়া টিকেটি বিক্রির টাকা দিয়ে এটি পরিচালিত হয়। চিড়িয়াখানায় আয় হওয়া অর্থ দিয়েই নতুন প্রাণী সংগ্রহ করা হচ্ছে।

Also Read: চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় উটপাখি-এমু, আসছে ক্যাঙ্গারু

Also Read: রাজ-পরীর সাদা ছানাদের তিনটি বাঘ, একটি বাঘিনী

প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার দর্শনার্থী এ চিড়িয়াখানা দেখতে আসেন। এর মধ্যে সাপ্তাহিক ছুটি কিংবা অন্যান্য ছুটির দিনে তা সাত থেকে ১০ হাজারে পৌঁছায়।

টিকেট বিক্রির টাকা থেকেই চিড়িয়াখানার ২০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী বেতন পরিশোধ, পশু খাদ্য ও উন্নয়ন খরচ বহন করা হয়।