নিহতদের মধ্যে দুই দম্পতি এবং এক দম্পতির দুই সন্তান রয়েছেন।
Published : 02 Apr 2025, 09:28 PM
কক্সবাজারের পথে লোহাগাড়ায় বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষের খবর শুনে নিহতদের স্বজনরা আসতে শুরু করেছেন চট্টগ্রামে।
বুধবার সকালের এ দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে দুই দম্পতি এবং এক দম্পতির দুই সন্তান রয়েছেন।
দোহাজারী হাইওয়ে পুলিশের এসআই মো. মতিন সন্ধ্যায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নিহতদের স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। তাদের মধ্যে হাইওয়ে থানায় রাখা আটটি লাশের মধ্যে তিনজনের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
অন্যদের স্বজনরাও চট্টগ্রামে আসছেন বলে জানান তিনি।
নিহতরা হলেন- দিলীপ বিশ্বাস ও তার স্ত্রী সাধনা মণ্ডল, রফিকুল ইসলাম শামীম ও তার স্ত্রী লুৎফুন নাহার সুমি, আট বছর বয়সী লিয়ানা, ১৪ বছর বয়সী আনীষা, ভাগিনা তানিফা ইয়াসমিন, বন্ধু মুক্তার হোসেন, সাধনা মণ্ডলের ভাই আশীষ মণ্ডল ও মাইক্রোবাসের চালক রফিকুল ইসলাম শামীম।
তাদের মধ্যে আশীষ ও আনীষার মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
লোহাগাড়ার জাঙ্গালিয়ায় বারবার কেন দুর্ঘটনা?
সড়কের অসঙ্গতি চিহ্নিত করার নির্দেশ উপদেষ্টা ফারুক ই আজমের
এসআই মতিন বলেন, নিহতরা দুই পরিবারের সদস্য। তারা সবাই কক্সবাজার যাচ্ছিলেন।
নিহতদের মধ্যে দিলীপ ও সাধনার লাশ তাদের পরিচিত সাইফুল ইসলাম নামে সাতকানিয়ার এক বাসিন্দা গ্রহণ করে গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন।
মাইক্রোবাসের চালক ইউসুফ আলীর লাশ গ্রহণ করেছেন তার পরিচিত আল আমীন নামে অপর এক মাইক্রোবাস চালক।
নিহত সাধনার মাসতুত (খালাত) ভাই বিধান মণ্ডল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দিলীপ ও সাধনার মেয়ে ছয় বছর বয়েসী আরাধ্যা মণ্ডল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। দিলীপ ও সাধনার লাশ ঝিনাইদহে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার বাসিন্দা দিলীপ গাজীপুরে গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজের ব্যবসা করতেন এবং তার স্ত্রী সাধনা গৃহীণী। তারা স্বপরিবারে ঢাকায় থাকেন।
কক্সবাজার যাবার কথা শুনেছেন, তবে কাদের সঙ্গে যাচ্ছেন সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি বিধান মণ্ডল।
লোহাগাড়ার দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে তিন জন এক পরিবারের
চট্টগ্রামে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই নুরে আলম আশেক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হাসপাতালে দুই দফায় পাঁচজনকে আনা হয়েছে। প্রথম দফায় আনা চারজনের মধ্যে দুইজনকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
দুপুরে আরও এক কিশোরকে হাসপাতালে আনার তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, ওই কিশোরকে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ১৮/২০ বছর বয়সী তরুণীকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এদিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বেচ্ছাসেবীর দায়িত্বে থাকা সনাতনী স্বেচ্ছাসেবী ফাউন্ডেশনের প্রভাত মজুমদার বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরাধ্যার জ্ঞান ফিরেছে। সে তার বাবা-মার নাম বলতে পারলেও আর কিছু বলতে পারেনি।