গ্রেপ্তার চার ঠিকাদারের মধ্যে একজন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা।
Published : 30 Jan 2023, 12:31 PM
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের একটি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালককে মারধর এবং তার কক্ষ ভাঙচুরের ঘটনায় চার ঠিকাদারকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
খুলশী থানার ওসি সন্তোষ কুমার জানান, রোববার চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার চারজন হলেন- সুভাষ দে, সঞ্জয় ভৌমিক কংকন, মো. ফিরোজ ও মাহমুদুল্লাহ। তাদের মধ্যে সঞ্জয় ভৌমিক কংকন নাসিরবাদ এলাকার ওমরগনি এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
ওসি সন্তোষ কুমার জানান, প্রকল্প কার্যালয়ে ভাংচুরের ঘটনায় সিটি করপোরেশনের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় চার ঠিকাদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোববার বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে পৌনে ৪টার মধ্যে নগরীর টাইগার পাসে করপোরেশনের অস্থায়ী কার্যালয়ের চতুর্থ তলায় প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী গোলাম ইয়াজদানির উপর হামলা হয়। কাজ না পেয়ে ক্ষুব্ধ ঠিকাদাররা তার ওপর হামলা করেন এবং ১৫ থেকে ২০ জন ঠিকাদার তাতে অংশ নেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
সিটি মেয়র রেজাউল করিমও বলেছিলেন “একটি প্রকল্পের পরিচালকের গায়ে কিছু ঠিকাদার হাত তোলে। তারা টেবিল ও কক্ষের বাইরের নেইমপ্লেট ভাঙচুর করে চলে যায়।”
সিটি করপোরেশনের ঠিকাদারদের মধ্যে শাহাবুদ্দিন, সঞ্জয় ভৌমিক, সুভাষ হামলার সময় ছিলেন বলেও জানান মেয়র। এছাড়া মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম জানান, উন্নয়ন প্রকল্পের ‘কাজ না পাওয়ায়’ এ ঘটনা ঘটান ঠিকাদাররা।
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে ঠিকাদার সঞ্জয় ভৌমিক কংকন গ্রেপ্তার হওয়ার আগে সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে ওই প্রকল্পের দরপত্র দিচ্ছিলাম। কিন্ত কোনো কাজ পাচ্ছিলাম না। ওইসব কাজের পে অর্ডার ফেরত না পাওয়ায় তা জানতে ঠিকাদাররা গিয়েছিল। উনি ঠিকাদারদের সাথে দুর্ব্যবহার করেছেন। এছাড়া ওখানে অনেকেই গিয়েছিল। আমাদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছিল শুধু। কারা এসব করেছে আমি জানি না।"
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম ইয়াজদানি সিটি করপোরেশনের অধীনে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিমানবন্দর সড়কসহ অবকাঠামো উন্নয়নের আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে সম্প্রতি তাকে নিয়োগ দেয় সরকার। করপোরেশনের অস্থায়ী ভবনে তার কার্যালয়।