গত রোববার বিকালে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার শান্তি নিকেতন এলাকায় বালুমহাল নিয়ে বিরোধে কুপিয়ে ও গুলি করে খুন করা হয় উপজেলার স্বনির্ভর ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক মনজুর আলমকে (৪২)।
Published : 11 Oct 2023, 05:06 PM
চট্টগ্রামে বালুমহাল নিয়ে বিরোধের জেরে যুবলীগ নেতা খুনের ঘটনায় আরও দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার রাতে হাটহাজারী ও নগরীর বায়েজিদ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার দুই জন হলেন- মো. আল আমীন ওরফে সাগর (৩০), ওবায়দুল কাদের ওরফে ওবায়দুল্লাহ ওরফে সুমন (৩৮)। তাদের মধ্যে সাগর এজাহারনামীয় ৩ নম্বর আসামি।
র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবসার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হত্যাকাণ্ডের পরপরই সাগর ও সুমন পালিয়ে গিয়েছিল। মঙ্গলবার রাতে হাটহাজারী উপজেলার আব্বাসিয়া পুল এলাকা থেকে সাগরকে এবং তার দেয়া তথ্যে নগরীর পাঁচলাইশ এলাকা থেকে সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত রোববার বিকালে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার শান্তি নিকেতন এলাকায় বালুমহাল নিয়ে বিরোধে কুপিয়ে ও গুলি করে খুন করা হয় উপজেলার স্বনির্ভর ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক মনজুর আলমকে (৪২)।
এ ঘটনায় মনজুর আলমের স্ত্রী চার জনের নাম উল্লেখ করে রাঙ্গুনিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। যেখানে প্রধান আসামি করা হয় খান মোহাম্মদ মঈনুদ্দিন ওরফে মঈনুকে (৪৫)।
মঙ্গলবার রাতে কুমিল্লা থেকে মঈন উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
র্যাবের ভাষ্য, এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী মঈন উদ্দিন। হত্যাকাণ্ডের সময় মঈন উদ্দিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
র্যাব জানায়, রোববার বিকালে শান্তি নিকেতন এলাকায় বালুমহালে অবস্থান করছিলেন মনজুর আলম। তখন সেখানে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যায় আসামিরা।
“তাদের দেখে প্রাণ ভয়ে দৌড়ে পালানোর সময় আসামিরা তাকে ধাওয়া করে বালুর মাঠেই এলোপাতাড়ি কোপায়। এক পর্যায়ে আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে মনজুরের পায়ের উপরের অংশে ও নিম্নাংশে একাধিক গুলি করে গুরুতর জখম করে এবং তার সাথে থাকা মো. সেকান্দরকেও মারধর করে জখম করে।”
পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মনজুরকে মৃত ঘোষণা করেন।