মামলায় এ পর্যন্ত মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
Published : 17 Mar 2025, 05:37 PM
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার আসামি চন্দন দাশ ও রাজীব ভট্টাচার্য্যকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার চট্টগ্রামের চতুর্থ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তফার আদালত এই আদেশ দেয়।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দুই আসামি চন্দন দাশ ও রাজীব ভট্টাচার্য্যকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেন।”
আসামি চন্দন দাশ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ঘটনায় সম্পৃক্ত হিসেবে ‘শিবা’ নামের একজনের কথা জানিয়েছিলেন। এছাড়া রাজীব ভট্টাচার্য্য তার জবানবন্দিতে ‘ওম ভাই’ নামের আরেকজনের সম্পৃক্ততার তথ্য দিয়েছেন।
এই দুজনের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে তদন্ত কর্মকর্তা জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেন বলে জানান আইনজীবী মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী।
হত্যাকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে ৪ ডিসেম্বর রাতে ভৈরব থেকে চন্দনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ, যাকে এই ঘটনার প্রধান আসামি বলা হচ্ছে। পুলিশের ভাষ্য, হত্যাকাণ্ডে যে ব্যক্তি কিরিচ হাতে অংশ নিয়েছিলেন, তিনিই চন্দন।
গত ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীর জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশের পর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে প্রিজন ভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ করে সনাতনী সম্প্রদায়ের লোকজন। আড়াই ঘণ্টা পর পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে চিন্ময় দাশকে কারাগারে নিয়ে যায়।
বিক্ষোভকারীরা আদালত সড়কে রাখা বেশ কিছু মোটরসাইকেল ও যানবাহন ভাঙচুর করে। এরপর আদালতের সাধারণ আইনজীবী ও কর্মচারীরা মিলে তাদের ধাওয়া করে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে রঙ্গম কনভেনশন হল সড়কে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় ২৯ নভেম্বর চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানায় আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫/১৬ জনকে আসামি করা হয়।
আইনজীবীদের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন আলিফের ভাই খানে আলম, যেখানে ১১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এর বাইরে আদালত এলাকায় সংঘর্ষ, ভাংচুর ও পুলিশের কাজে বাধাদানের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করেছে। ওই তিন মামলায় মোট ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আদালত এলাকায় সহিংসতার ঘটনায় সবশেষ গত মঙ্গলবার মোহাম্মদ উল্লাহ নামের এক ব্যক্তি ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ ২৯ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেছেন।
আলিফ হত্যা মামলায় চন্দন, রাজীবসহ এ পর্যন্ত মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
চট্টগ্রামে আদালতে সহিংসতা: ৮ আসামি ৫ দিনের রিমান্ডে
আইনজীবী হত্যা: চন্দন দাসের জবানবন্দি
আইনজীবী হত্যা: চন্দন ৭, রিপন ৫ দিনের রিমান্ডে
আইনজীবী হত্যায় চট্টগ্রামে আরেকজন গ্রেপ্তার
আইনজীবী হত্যার প্রধান আসামি চন্দন কিশোরগঞ্জে গ্রেপ্তার
আইনজীবী হত্যা: গ্রেপ্তার আরও ৮