মন্দিরে ঢুকার আগে পুকুরে গোসলও সেরে নেন তিনি।
Published : 22 Mar 2024, 07:44 PM
মন্দিরের পাশের পুকুরে গোসল করে চুরি করতে গেলেন মন্দিরে। জানলা ভেঙে ঢুকতেই কালী মূর্তির ‘পা ধরে ক্ষমা চেয়ে’ নেন। এরপর দান বাক্স ভেঙে নিয়ে গেলেন টাকা, ক্যামেরা ও মনিটর।
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় একটি মন্দিরে চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তারের পর পুলিশের কাছে এই স্বীকারোক্তি দিয়েছে হারুনর রশিদ নামে একজন।
হারুন চট্টগ্রামের চন্দনাইশ পৌরসভার গাছবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পটিয়া থানার এএসআই অনুপ কুমার বিশ্বাস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, পটিয়া উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের সাবিত্রী মন্দিরে গত ১০ মার্চ রাতে একটি চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হারুনর রশিদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, “চুরি করা হারুনের স্বভাব। এক সময় কাজের সন্ধানে দুবাই গিয়েও জড়িয়ে পড়ে চুরিতে। সেখানে ধরা পড়ে প্রায় সাড়ে তিন বছর কারাভোগ করে তিন বছর আগে দেশে ফিরে আসে। দেশে এসেও চুরিতে জড়িয়ে পড়ে।”
অনুপ জানান, দেশে ফিরে প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে সাড়ে চার ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরি করে ধরা পড়ে এলাকা ছাড়া হয়েছিলেন হারুন।
সাবিত্রী মন্দিরে চুরির ঘটনা তুলে ধরে অনুপ বলেন, “ওই এলাকায় অন্য একটি মন্দিরে সিসি ক্যামেরা দেখে প্রবেশ করেনি। পরে সাবিত্রী মন্দিরে গিয়ে পাশের পুকুরে হাত-মুখ ধুয়ে প্রবেশ করে সিসি ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে।”
হারুন পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পর জানলা ভেঙে প্রবেশের সময় তিনি থমকে যান। আবার গিয়ে পুকুরে গোসল সেরে মূল মন্দিরে প্রবেশ করেন।
সেখানে কালী মূর্তির ‘পা ধরে ক্ষমা চেয়ে’ দান বাক্স ভেঙে সাত হাজার নগদ টাকা ও সিসি ক্যামেরা, মনিটর, চুরি করে নিয়ে যান।
গ্রেপ্তারের পর নগরীর খুলশী থানার আমাবাগান এলাকা থেকে চুরি করা মনিটরটি উদ্ধার করা হয়। হারুনের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় সিসি ক্যামেরাগুলো।
চুরির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামগুলো উদ্ধার করা হয় মন্দিরের পাশ থেকে।