Published : 26 Feb 2025, 11:29 AM
বিকেলে থাকার কথা ছিল সভা মঞ্চে; আর সকালে চলে গেলেন জীবন মঞ্চই ছেড়ে।
বর্ণাঢ্য রাজনীতিক বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান মারা গেছেন মঙ্গলবার সকালে, ঢাকায়।
যে চট্টগ্রাম থেকে রাজনৈতিক জীবনের শুরু হয়েছিল ছয় দশক আগে, সেই চট্টগ্রামেই মঙ্গলবার বিকেলেই উত্তর জেলা বিএনপির জনসভায় প্রধান অতিথি হওয়ার কথা ছিল নোমানের।
বর্ষীয়ান এই নেতার মৃত্যুতে স্থগিত করা হয়েছে সেই জনসভা। শোকের ছায়া নেমে এসেছে চট্টগ্রামের রাজনৈতিক মহলসহ সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে।
গত শতকের ষাটের দশকের ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা আবদুল্লাহ আল নোমান- মুক্তিযুদ্ধ, শ্রমিক রাজনীতি পেরিয়ে হয়েছিলেন রাজনৈতিক দলের নেতা। পরে সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। নগর বিএনপির সভাপতি থেকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হন।
দীর্ঘ প্রায় ছয় দশকের রাজনৈতিক জীবনে প্রতিপক্ষের সঙ্গেও কখনো বৈরী সম্পর্ক হয়নি নোমানের। বিরোধিতা ছিল কেবল রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে।
বহু নেতাকর্মী আবদুল্লাহ আল নোমানের হাত ধরে রাজনীতিতে এসেছেন। তাদের প্রায় প্রত্যেকের সাথে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তার সম্পর্ক ছিল হৃদ্যতার।
রাজপথ থেকে শীর্ষে
১৯৪৫ সালে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার গহিরা গ্রামে জন্ম নেন আবদুল্লাহ আল নোমান। বড় ভাই আবদুল্লাহ আল হারুন চৌধুরী ছিলেন ভাষা আন্দোলনের সংগঠক ও ছাত্র ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।
বাবা আহমদ কবীর চৌধুরী, চাচা আহমদ ছগীর চৌধুরী ও লুৎফে আহমদ চৌধুরী- তিনজনই চট্টগ্রামের শিক্ষা প্রসার, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কাজে নিবেদিত ছিলেন।
ষাটের দশকের শুরুতে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে নোমান ছাত্র ইউনিয়নে যোগ দেন।
সেই সময়ের স্মৃতিচারণ করে আইনজীবী রাণা দাশগুপ্ত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে ১৯৬২ সাল থেকেই নোমান ভাইয়ের সাথে আমার সম্পর্ক। তখন একসাথে জেলে ছিলাম।
“১৯৬৩ সালে চট্টগ্রাম জেলা ছাত্র ইউনিয়নের কমিটিতে তিনি ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক, আর আমি সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক। ১৯৬৭ সালে আবারো একসাথে জেলে গেছি।
“সেই বিরুদ্ধ সময়ে পোস্টার লেখা শেখা থেকে শুরু করে সকল কর্মসূচি করেছি উনার সাথে। পরে তিনি ছাত্র ইউনিয়নের মেনন গ্রুপে ছিলেন, আমি ছিলাম মতিয়া গ্রুপে। বীর মুক্তিযোদ্ধা নোমান পরে বিএনপিতে যোগ দেন। শুরুর দিন থেকে তার সাথে বড় ভাই-ছোট ভাইয়ের সম্পর্ক, যা শেষ দিন পর্যন্ত অটুট ছিল।”
নোমানকে ‘প্রকৃত এক অসাম্প্রদায়িক রাজনীতিবিদ’ বর্ণনা করে রাণা দাশগুপ্ত বলেন, “ছাত্র জীবনের শুরুতে যে চেতনা তিনি ধারণ করতেন, তা থেকে কখনো বিচ্যুত হননি। একসাথে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছি। মুক্তিযুদ্ধের পর চট্টগ্রাম শহরের দেওয়ানজিপুকুর পাড়ে চট্টল শক্তি সম্মিলনের আয়োজনে দুর্গা পূজা আয়োজনে সেক্রেটারি ছিলেন নোমান ভাই। ১৯৭৩-৭৪ সালে তার নেতৃত্বে সেখানে সরস্বতী পূজাও হয়েছিল।
“তিনি পরিচ্ছন্ন ও শিক্ষানুরাগী ছিলেন। শিক্ষার অগ্রগতির জন্য কলেজ, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং পরে বেসরকারি ইস্ট ডেল্টা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। সংস্কৃতিবান, পরিচ্ছন্ন এবং সজ্জন একজন রাজনীতিবিদ। তাকে হারিয়ে আমি শোকাহত।”
ছাত্রজীবন শেষে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর হাত ধরে নোমান যোগ দেন শ্রমিক রাজনীতিতে। পূর্ববাংলা শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ছিলেন তিনি। গোপনে ভাসানিপন্থি ন্যাপের রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত হন। ১৯৭০ সালে ন্যাপের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হন।
১৯৭১ সালে তিনি সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। যুদ্ধ শেষে ন্যাপের রাজনীতিতে তার পথ চলা।
শ্রমিক রাজনীতিতে নোমানের সহযোদ্ধা ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি চট্টগ্রাম জেলার সাবেক সভাপতি ও আন্তঃজেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন পূর্বাঞ্চলের সভাপতি মৃণাল চৌধুরী।
সেই সময়ের স্মৃতি চারণ করে তিনি বলেন, “আমরা ছাত্র জীবনে একই সংগঠন করেছি একসাথে। পরে তিনি ভিন্ন ধারায় চলে যান। শ্রমিক রাজনীতিতেও তিনি ছিলেন সহযোদ্ধা। তখন নানা বিষয়ে উনি পরামর্শ দিতেন।
“নোমান ভাই সমাজে সাম্য প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। নিজের রাজনৈতিক অতীতকে তিনি কখনো ভুলতে পারেননি। নোমান ভাইয়ের মৃত্যুতে দেশের শ্রমিক মেহনতী মানুষের অপূরণীয় ক্ষতি হলো। মানুষ হিসেবে তিনি ছিলেন উদার। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।”
১৯৮১ সালে যোগ দেন বিএনপিতে যোগ দেন আবদুল্লাহ আল নোমান। বাম রাজনীতির মত বিএনপির রাজনীতিতেও অসংখ্য নেতাকর্মীকে আকৃষ্ট করেছিলেন তিনি।
নোমানের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা নগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুল আনোয়ার বলেন, “ছাত্র সংগঠন করেছি একসাথে। পরে তিনি আমাকে বিএনপিতে নিয়ে গেলেন। তিনি ছিলেন সভাপতি, আমি সাধারণ সম্পাদক। দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলন একসাথে লড়েছি। রাজপথে দীর্ঘ সময় পাশাপাশি হেঁটেছি।
“নোমান ভাই রাজপথ থেকে ক্ষমতার উচ্চ শিখরে পৌঁছেছিলেন। একজন জনদরদী রাজনীতিবিদ। যারা তার কড়ে আঙ্গুল ধরে রাজপথে হাঁটা শুরু করেছিল, তাদের তিনি শীর্ষ পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তারাই শেষ দিকে তাকে মনে রাখেনি। দলের জন্য, চট্টগ্রামের মানুষের জন্য তিনি অনেক করেছেন। কিন্তু শেষ দিকে তিনি মূল্যায়িত হননি। শেষযাত্রায় তিনি অভিমান নিয়েই চলে গেলেন।”
ছিলেন দল-মতের ঊর্ধ্বে
চার দশকেরও বেশি সময় ধরে বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নোমানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন সকল দলের নেতাকর্মীরা।
বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এক শোক বার্তায় বলেন, “বিএনপির প্রতিষ্ঠাকাল থেকে দলকে সুসংগঠিত করতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে তার ভূমিকা ছিল অপরিসীম। তিনি গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সাহসী নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি ছিলেন দল অন্তঃ প্রাণ নেতা।
“তার মৃত্যুতে দেশ ও জাতীয়তাবাদী দল এক ত্যাগী, সাহসী, সংগ্রামী সজ্জন ও বর্ণাঢ্য রাজনীতিবিদকে হারালো। দেশের উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে তার অবদান দেশ, জাতিও দল চিরদিন মনে রাখবে। তার মৃত্যুতে দলের অপূরণীয় ক্ষতি হলো। তার কর্মের মধ্যে দিয়ে তিনি নেতা কর্মীদের কাছে অমর হয়ে থাকবেন।”
পৃথক শোক বার্তায় সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুর সংবাদ আমার জন্য ভীষণ কষ্টের। তার হাত ধরেই আমরা রাজনীতি শুরু করেছি। বিএনপির রাজনীতিতে তিনি ছিলেন একজন কিংবদন্তি রাজনীতিবিদ। তিনি ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী অনন্য এক নেতা।
“মুক্তিযুদ্ধে তার সাহসী ভূমিকা অবিস্মরণীয়। তিনি কেবল চট্টগ্রাম নয় বাংলাদেশের রাজনীতির অঙ্গনে এক কিংবদন্তি পুরুষ। তিনি শুধু নেতা ছিলেন না, তিনি ছিলেন একটি প্রতিষ্ঠান। তিনি ছিলেন নেতাদের নেতা। বিএনপির রাজনীতিতে তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।”
উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আজ উত্তর জেলার সভায় তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখার কথা ছিল। এটা খুব দুঃখজনক, আজই তিনি চলে গেলেন। উনার হাতেই আমার রাজনীতির শুরু। আমাদের সভা স্থগিত করা হয়েছে। চট্টগ্রামেই উনাকে আমরা শেষ শ্রদ্ধা জানাব।”
কেবল বিএনপি নেতারা নয়, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও নোমানের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন।
উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও রাউজানের সাবেক পৌর মেয়র দেবাশীষ পালিত ফেইসবুক পোস্টে বলেন, “আমাদের পরিবারের অন্যতম সুহৃদ, সাবেকমন্ত্রী অসাম্প্রদায়িক রাজনীতিবীদ জননেতা আব্দুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে আমরা গভীর শোকাহত।”
সাবেক ছাত্রনেতা এম আর আজিম ফেইসবুক পোস্টে লেখেন, “মরহুম আবদুল্লাহ আল নোমান চট্টগ্রাম নিয়ে ভাবতেন, কাজ করতে চাইতেন। চট্টগ্রামবাসী আপনাকে মনে রাখবে। শ্রদ্ধা জানাই বীর এই নেতার প্রতি।”
সাহিত্যিক আজাদ বুলবুল বলেন, “আমি উনার রাজনীতির সতীর্থ ছিলাম না। কিন্তু আমার প্রতি উনার একটা গোপন পক্ষপাতিত্ব ছিল।
“উনার আন্তরিকতা ছিল তুলনারহিত। বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মরহুম আবদুল্লাহ আল নোমানের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।”
মানুষ মাত্রই রাজনীতির বাইরে নয় মন্তব্য করে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক হাসান নাসির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মতাদর্শগত অবস্থান থেকে বিতর্ক হয়, সংঘাতও হয়। কিন্তু এমন কিছু ব্যক্তিত্ব থাকেন, যাদের প্রতি শ্রদ্ধা থাকে দলমত নির্বিশেষে। তেমনই একজন মানুষ আবদুল্লাহ আল নোমান।
“নোমান ভাই চলে গেলেন আজ। তিনি একাত্তরের রণাঙ্গনের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ছিলেন অবিভক্ত ছাত্র ইউনিয়নের নেতা। যে কোনো রাজনৈতিক দল করেও যে সকলের শ্রদ্ধা পাওয়া যায়, তার নজির আবদুল্লাহ আল নোমান। শোক ও শ্রদ্ধা জানাই।”
জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশের সভাপতি সুকুমার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন এক শোক বার্তায় বলেন, “অসাম্প্রদায়িক নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। তার প্রয়াণে আমরা অকৃত্রিম এক বন্ধু ও অভিভাবককে হারালাম।”
একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি
ছয় দশক আগের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা নোমানকে একটু ভিন্নভাবেই ব্যাখ্যা করে আইনজীবী রাণা দাশগুপ্ত বলেন, “ষাটের দশকের ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে এসে যারা জাতীয় পর্যায়ে রাজনীতিবিদ হয়েছিলেন, তারা দু’জন হলেন- এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও আবদুল্লাহ আল নোমান। দুজনই জনসম্পৃক্ত রাজনীতিবিদ। তাদের মামা-ভাগ্নের সম্পর্কও চট্টগ্রামের রাজনীতির একটি অধ্যায়।
“মহিউদ্দিন চৌধুরী আগেই প্রয়াত হয়েছেন। আজ নোমান ভাইও চলে গেলেন। একটি অনন্য অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটল।”
রাউজান উপজেলার গহিরায় একই গ্রামের বাসিন্দা মামা নোমান ও ভাগ্নে মহিউদ্দিনের দ্বৈরথ চট্টগ্রামের রাজনীতিতে বহুল আলোচিত বিষয়।
দু’জনের পারিবারিক ও ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল অনবদ্য। আর রাজনীতির মাঠে তারা ছিলেন বিপরীত শিবিরের নেতা। আবার কখনো কখনো দুই স্রোত মিলিত হত এক মোহনায়।
এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে চট্টগ্রামে বিএনপির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন নোমান। আর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ছিলেন মহিউদ্দিন। যৌথভাবে তারা বহু কর্মসূচি পালন করেন তখন। রাজপথে ছিলেন একসাথে।
বিরোধ প্রকাশ্যে আসে ১৯৯১ সালে। ওই বছর চট্টগ্রামের কোতোয়ালী আসনে মামা নোমানের কাছে ভাগ্নে মহিউদ্দিন হেরেছিলেন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। এরপর আর সংসদ নির্বাচনমুখী হননি মহিউদ্দিন। বারবার নির্বাচন করেছিলেন সিটি মেয়র পদে।
এরপর চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে তৃতীয় সেতু নির্মাণের বিষয় নিয়ে দুজনের বিরোধ আবার চাঙা হয়। সেসময় মন্ত্রী নোমান নতুন সেতু নির্মাণের প্রস্তাব দিলে এর বিরোধিতায় মাঠে নামেন বিরোধী দলের নেতা মহিউদ্দিন। তার দাবি ছিল কর্ণফুলীতে ঝুলন্ত সেতু নির্মাণের।
এই দুই নেতার কথার লড়াইও চলত সমানে। সরকারে ও বিরোধী দলে থেকে নিজ দলের অবস্থান পরিবর্তনের সাথে দুই নেতার মাঠের অবস্থানও বদল হত। কিন্তু চট্টগ্রামের সকল সামাজিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলন ও আয়োজনে নোমান-মহিউদ্দিনকে দেখা যেত পাশাপাশি।
প্রিয় ভাগ্নে মহিউদ্দিনের বিদায়ে নোমান বলেছিলেন, “হয়ত আমরা ভিন্ন দল করতাম। কিন্তু সব কিছুর ঊর্ধ্বে তিনি ছিলেন একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ বির্নিমাণ ছিল তার সারাজীবনের সংগ্রাম।”
বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান আর নেই
নোমানকে বিএনপি স্থায়ী কমিটিতে ঠাঁই দেওয়ার দাবি অনুসারীদের
'মামা-ভাগিনার মেয়র নির্বাচন চাই'