মঙ্গলবার নগরীর শাহ আমানত মাজার জিয়ারত করে নিজেদের নির্বাচনী এলাকায় যাওয়ার পথে এই সাক্ষাৎ হয় তাদের।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হওয়ার পর দেশের বিভিন্ন জায়গায় রাজনৈতিক উত্তাপ এবং কোথাও কোথাও সংঘর্ষের খবরের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ চেহারায় দেখা গেল চট্টগ্রামের এই দুই নেতাকে।
বর্ষীয়ান রাজনীতিক নোমান চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং) আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অপরদিকে তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা নওফেল এবারই প্রথম সংসদ নির্বাচনে লড়ছেন চট্টগ্রাম-৯ (কোতয়ালী) আসনে। এর আগে আসন থেকেই নির্বাচন করতেন নোমান, ১৯৯১ সালে প্রথম নওফেলের বাবা প্রয়াত এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে হারিয়ে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরী ছিলেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি, তিনবার চট্টগ্রাম সিটির মেয়র ছিলেন তিনি। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নোমান একাধিকবার চট্টগ্রাম থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়ে খালেদা জিয়ার সরকারে মন্ত্রী ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা সোয়া ১২টার পর নগরীর শাহ আমানত মাজারের অদূরে জেল রোড মোড়ে নোমানকে দেখে গাড়ি থেকে নামেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নওফেল।
নোমান শাহ আমানত মাজার জিয়ারত শেষে তার নির্বাচনী এলাকায় যাচ্ছিলেন। তখন নওফেল নির্বাচনী প্রচারণার জন্য যাচ্ছিলেন বক্সিরহাট এলাকার আনসার ক্লাবের দিকে।
এ সময় জেল রোডের মুখে আবদুল্লাহ আল নোমানকে দেখে গাড়ি থেকে নেমে করমর্দন করেন তিনি। পরে কোলাকুলি ও কুশল বিনিময় হয় তাদের। এরপর দুইজনই তাদের কাজে চলে যান।
নওফেলও সকালে শাহ আমানত মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে তার নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন।