‘এক্স-ফ্যাক্টর’ ডেভিডকে নিয়ে কামিন্সের উচ্ছ্বাস

মিডল অর্ডারে টিম ডেভিডকে বিশ্বসেরাদের কাতারে দেখেন অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়ক।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Sept 2022, 01:11 PM
Updated : 18 Sept 2022, 01:11 PM

ঘরোয়া ক্রিকেটে কয়েক বছর ধরে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়ে চলেছেন টিম ডেভিড। জায়গা পেয়ে গেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ দলেও। টি-টোয়েন্টির বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হয়ে ভারত সফরে অভিষেকও হয়ে যেতে পারে তার। বিস্ফোরক এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কেমন করেন, দেখার জন্য উন্মুখ পেসার প্যাট কামিন্স।

পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় বেড়ে ওঠা টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ ডেভিডের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলা অবশ্য শুরু হয়েছে আগেই। ঝলকও দেখিয়েছেন। পাকিস্তান সুপার লিগের গত আসরে ঝড় তুলে উঠে আসেন পাদপ্রদীপের আলোয়। এবার নতুন অধ্যায়ে ক্যারিয়ার রাঙানোর পালা।

বিশ্বজুড়ে লিগগুলোতে হার্ড-হিটিং এই ফিনিশারের এখন তুমুল চাহিদা। এমন একজন জাতীয় দলের জন্য হতে পারেন বড় সম্পদ। তবে দারুণ সব ক্রিকেটারে ঠাসা অস্ট্রেলিয়া দলে জায়গা পাওয়া সহজ নয়। চোটের জন্য মিচেল মার্শ ও মার্কাস স্টয়নিসের অনুপস্থিতিতে ডেভিডের জন্য খুলে যেতে পারে দুয়ার। ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে তাই অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তার অভিষেকের জোর সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।

মোহালিতে মঙ্গলবার হবে প্রথম টি-টোয়েন্টি। এর আগে রোববার এক ভিডিও কনফারেন্সে ডেভিডকে নিয়ে মুগ্ধতার কথা জানান পেসার কামিন্স।

“ডেভিড সুযোগ পেয়েছে, এটা দারুণ ব্যাপার। সে বিশ্বসেরাদের মাঝেই আছে।”

“টি-টোয়েন্টিতে মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করা খুব কঠিন। বেশিরভাগ রান সংগ্রাহকরা ইনিংস উদ্বোধন করে বা টপ অর্ডারে ব্যাট করে। স্পিনাররা যখন বোলিং করে, অথবা ইনিংসের শেষ দিকে ধারাবাহিক হওয়া খুব কঠিন। আমি মনে করি, সে অসাধারণ।”

সিঙ্গাপুরের হয়ে ১৪ টি-টোয়েন্টি ইনিংসে ৪৬.৫০ গড় ও ১৫৮.৫২ স্ট্রাইক রেটে ৫৫৮ রান করেছিলেন ডেভিড। চার ফিফটির মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল অপরাজিত ৯২ রানের। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ১১৯ ইনিংসে ৩১.৬৮ গড়ে তার রান ২ হাজার ৭২৫। স্ট্রাইক রেট ১৬৩.১৭। এমন ভয়ঙ্কর ডেভিডকেই জাতীয় দলে চান কামিন্স।

“আশা করি, জাতীয় দলে সুযোগ পেলে বিশ্বজুড়ে ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগে যা করছে, সেটাই সে ধরে রাখতে পারবে। আমার ধারণা সে একজন এক্স-ফ্যাক্টর।”

ভারত সিরিজ শেষে দেশে ফিরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে অস্ট্রেলিয়া। তাদের দেশেই এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।