Published : 02 Aug 2023, 12:17 AM
সময়ের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন তো বটেই, অনেকের নজরে সর্বকালের সেরাদের তালিকায়ও থাকবেন ভিরাট কোহলি। তাই ব্যাটিং নিয়ে কোনো আলোচনায় প্রাসঙ্গিকভাবেই চলে আসে ভারতীয় তারকার নাম। বোলারদের মধ্যে জাসপ্রিত বুমরাহকে সেই পর্যায়ে মনে করেন হরভজন সিং।
লম্বা সময় ধরে অভিজ্ঞ পেসার বুমরাহকে পায়নি ভারত। ঘরের মাঠে গত বছরের সেপ্টেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর পিঠের চোটে পড়েন তিনি। পরে তাকে যেতে হয় শল্যবিদের ছুরিকাঁচির নিচে। সফল অস্ত্রোপচার শেষে বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া সারেন ২৯ বছর বয়সী পেসার।
চোট কাটিয়ে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে ফিরেছেন বুমরাহ। তিন ম্যাচের ওই লড়াইয়ের জন্য ভারতের অধিনায়ক করা হয়েছে তাকে। সবকিছু ঠিক থাকলে এবারই প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেবেন তিনি।
বুমরাহ ফেরায় যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন হরভজন। ইউটিউব চ্যানেলে উত্তরসূরিকে নিয়ে নিজের ভালোলাগা তুলে ধরেন ভারতের সাবেক এই অফ স্পিনার।
“জাসপ্রিত বুমরাহ দলে ফিরেছে। লম্বা সময় ধরে সে চোটে ছিল। তার প্রত্যাবর্তন প্রতীক্ষিত ছিল। সে ফিরেই সরাসরি অধিনায়কত্ব পেয়েছে। অধিনায়ক হওয়ার জন্য এবং ফিট হয়ে ফেরার জন্য জেসিকে (বুমরাহ) অভিনন্দন। আশা করি জেসি আবারও কোনো চোটে পড়বে না।”
তিন সংস্করণেই ভারতের পেস বোলিং বিভাগের সবচেয়ে বড় অস্ত্র বুমরাহ। সময়ের সেরা পেসারদের ছোট্ট তালিকায় উপরের দিকেই থাকবে তার নাম। এমন একজনের অনুপস্থিতি ভারতকে ভুগিয়েছে অনেক।
হরভজন যেমন উদাহরণ দিলেন আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সবশেষ চক্রের ফাইনালের। ইংল্যান্ডের ওভালে হওয়া ওই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ২০৯ রানে হারে ভারত। বুমরাহ থাকলে, লড়াইটা আরও জমত বলে মনে করেন হরভজন। তাইতো তিনি বললেন, বুমরাহ তার কাছে বোলিংয়ের ভিরাট কোহলি।
“টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল কিংবা এর আগে আমরা যত ক্রিকেট খেলেছি তার অভাব অনুভব করেছি। আমি আগেও বলতাম এবং এখনও বলছি, ব্যাটিংয়ের আলোচনায় যেমন আমরা ভিরাট কোহলিকে নিয়ে কথা বলি, বোলিংয়ে ভিরাট কোহলি হলো জাসপ্রিত বুমরাহ। তার চেয়ে বড় আর নেই।”
ভারতের হয়ে এখন পর্যন্ত ৩০ টেস্ট খেলা বুমরাহ ২১.৯৯ গড়ে নিয়েছেন ১২৮ উইকেট। আটবার পেয়েছেন ইনিংসে পাঁচ উইকেটের স্বাদ। ৭২ ওয়ানডেতে তার শিকার ১২১ উইকেট, গড় ২৪.৩০, দুইবার নিয়েছেন পাঁচটি করে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৬০ ম্যাচে ২০.২২ গড়ে ৭০ শিকার ধরেছেন ডানহাতি এই পেসার।