ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই আগুন ঝরালেন নাহিদ রানা, লেগ স্পিনে রিশাদ রাখলেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান, অলরাউন্ড নৈপুণ্যে নায়ক তরুণ রোহানাত দৌল্লাহ বর্ষণ।
Published : 07 Apr 2024, 07:15 PM
শুরুতে গতির ঝড় তুললেন নাহিদ রানা। শেষ দিকেও ধরে রাখলেন ছন্দ। তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়ে আরও একবার সামর্থ্যের জানান দিলেন রিশাদ হোসেন। নাহিদের গতি আর রিশাদের লেগ স্পিনে কুপোকাত গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের ব্যাটসম্যানরা। সহজ জয় পেল শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের নবম রাউন্ডে নাহিদ-রিশাদের আলো ছড়ানোর দিন অলরাউন্ড নৈপুণ্যে রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাবের প্রথম জয়ের নায়ক রোহানাত দৌল্লাহ বর্ষণ। দিনের অন্য ম্যাচে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে জিতেছে সিটি ক্লাব।
ইরফান-নাহিদ-রিশাদের নৈপুণ্যে শাইনপুকুরের ‘হ্যাটট্রিক’
মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে গাজী গ্রুপকে ৮০ রানে হারিয়েছে শাইনপুকুর। এ নিয়ে টানা তৃতীয় জয় পেয়েছে আকবর আলির নেতৃত্বাধীন দল।
মেঘাছন্ন আকাশে সকালে নির্ধারিত সময়েই শুরু হয় খেলা। শাইনপুকুরের ইনিংসের ৪ ওভার হতেই নামে বৃষ্টি। ফলে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে আসে ইনিংসপ্রতি ৪৩ ওভারে।
ইরফান শুক্কুরের ৭৫ বলে ৮৪ রানের সৌজন্যে ৮ উইকেটে ২৪২ রান করে শাইনপুকুর। ডাকওয়ার্থ লুইস স্টার্ন পদ্ধতিতে গাজী গ্রুপের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৩ ওভারে ২৪২ রান। যা তাড়া করতে নেমে ৪৮ বল বাকি থাকতেই ১৬১ রানে গুটিয়ে যায় দলটি।
প্রিমিয়ার লিগে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই আগুন ঝরান গত মাসে টেস্ট অভিষেকে গতির ঝড়ে নজরকাড়া নাহিদ। শুরু ও শেষে একই ছন্দে বোলিং করে ৪ উইকেট নেন তিনি। স্রেফ ৫ ম্যাচের লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারে তার উইকেট এখন ১৪টি।
নাহিদের মতো ৪ উইকেট নেন রিশাদও। দুই রাউন্ড আগেই ক্যারিয়ারের প্রথম ৫ উইকেট নিয়েছিলেন ২১ বছর বয়সী লেগ স্পিনার।
লিগের শুরুতে নাহিদ ও রিশাদ ছিলেন আবাহনী লিমিটেডে। তবে দলটির হয়ে কোনো ম্যাচ না খেলায় সমঝোতার ভিত্তিতে দুজনকেই নিয়ে নেয় শাইনপুকুর। এবারই একই ম্যাচে জ্বলে উঠলেন দুই তরুণ।
আগের ম্যাচের মতো এদিনও শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন শাইনপুকুরের দুই ওপেনার তানজিদ হাসান ও জিসান আলম। তবে এবার আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তারা।
দুই ওপেনারের ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে ৪ ওভারে ৪৪ রান করার পর নামে বৃষ্টি। এরপর খেলা শুরু হলে দ্রুতই ফেরেন ১ চার ও ২ ছক্কায় ১৬ বলে ২০ রান করা জিসান। বৃষ্টি নামার আগে আউট হওয়া তানজিদ করেন ১টি করে চার-ছক্কায় ৭ বলে ১২ রান।
এরপর একপ্রান্ত আগলে রেখে দলকে এগিয়ে নেন খালিদ হাসান। অন্যপ্রান্তে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আকবর আলি। পাঁচ নম্বরে নামার সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পারেননি রবিউল হক। ৮০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে শাইনপুকুর।
তখন হাল ধরেন খালিদ ও ইরফান। দুজন মিলে পঞ্চম উইকেটে গড়ে তোলেন ৮৩ রানের জুটি। চলতি লিগে তৃতীয় পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংসে ৬৩ রান করে আউট হন খালিদ। ৯৯ বলের ইনিংসে ৫ চারের সঙ্গে ১টি ছক্কা মারেন ২১ বছর বয়সী বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
বাকি পথটা একাই লড়াই করেন ইরফান। চলতি লিগে দ্বিতীয় ও সব মিলিয়ে ২১তম ফিফটি করে দলকে আড়াইশ রানের কাছাকাছি নিয়ে যান ঘরোয়া ক্রিকেটের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।
রান তাড়ায় শুরু থেকেই নিয়মিত উইকেট হারায় গাজী গ্রুপ। নিজের প্রথম ওভারেই পিনাক ঘোষকে ফেরান নাহিদ। পরের ওভারে তিনি বোল্ড করেন আরেক ওপেনার আনিসুল ইসলামকে।
শুরুর ওই ধাক্কা আর সামলাতে পারেনি গাজী গ্রুপ। ৮০ রানের আগে তারা হারায় ৫ উইকেট। এরপর সাব্বির হোসেন, মইন খান, আব্দুল গাফফারদের ছোট ছোট ইনিংসে দেড়শ পার করে দলটি।
তিন বলের মধ্যে শেষ ২ উইকেট নিয়ে শাইনপুকুরের জয় নিশ্চিত করেন রিশাদ। গাজী গ্রুপের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সাব্বির। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬ রান আসে অতিরিক্ত থেকে।
দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলকে দুইশ পার করিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন ইরফান।
৯ ম্যাচে শাইনপুকুরের ষষ্ঠ জয় এটি। শ্রেয়তর নেট রান রেটের সৌজন্যে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে পেছনে ঠেলে ৪ নম্বরে উঠেছে তারা। সমান ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে সাত নম্বরে গাজী গ্রুপ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব: ৪৩ ওভারে ২৪২/৮ (তানজিদ ১২, জিসান ২০, খালিদ ৬৩, আকবর ১২, রবিউল ৪, ইরফান ৮৪, মেহেরব ১৮, রিশাদ ০, মুরাদ ১১*; রুয়েল ৮-১-৪৮-৩, পারভেজ ৯-০-৫৪-০, গাফফার ৯-০-৪৫-২, মইন ৯-০-৪১-২, আল আমিন ১-০-৫-০, ওয়াসি ১-০-১১-০, আনিসুল ৬-০-৩৪-১)
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স: (লক্ষ্য ৪৩ ওভারে ২৪২) ৩৫ ওভারে ১৬১ (পিনাক ৫, আনিসুল ১২, মেহেদি ১৫, আল আমিন ১২, মাহফুজুর ৮, সাব্বির ৩৩, মইন ২০, পারভেজ ৬, গাফফার ১৯*, ওয়াসি ৫, রুয়েল ০; রবিউল ৫-০-১৯-০, নাহিদ ৯-১-৫৪-৪, আরাফাত ৬-১-২৩-১, মুরাদ ৮-১-২১-১, রিশাদ ৭-১-৩০-৪)
ফল: ডাকওয়ার্থ লুইস স্টার্ন পদ্ধতিতে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব ৮০ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: ইরফান শুক্কুর
রূপগঞ্জ টাইগার্সের প্রথম জয়
প্রিমিয়ার লিগের গত আসরে শেষ সময় পর্যন্ত সুপার লিগে ওঠার লড়াইয়ে ছিল রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব। এবার বিধিবাম! প্রথম ৮ ম্যাচে কোনো জয়ই পায়নি দলটি। নবম রাউন্ডে এসে অবশেষে জয়ের মুখ দেখল তারা।
বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে ডাকওয়ার্থ লুইস স্টার্ন পদ্ধতিতে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ৩১ রানে হারিয়েছে রূপগঞ্জ টাইগার্স।
প্রথম ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বৃষ্টি নামলে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে আসে ইনিংসপ্রতি ৪৩ ওভারে। ২৩ বল বাকি থাকতেই ১৪৯ রানে গুটিয়ে যায় রূপগঞ্জ টাইগার্স। ১৪৮ রানের নতুন লক্ষ্যে আরও করুণ দশা হয় ব্রাদার্সের। তাদের ইনিংস থামে স্রেফ ১১৬ রানে।
ম্যাচে দুই দল মিলিয়ে একমাত্র ত্রিশ ছোঁয়া ইনিংস খেলেন শামসুর রহমান। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ৩৪তম ফিফটিতে ৮০ বলে ৫৭ রান করেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।
তবে অলরাউন্ড নৈপুণ্যে রূপগঞ্জের জয়ের নায়ক রোহানাত দৌল্লাহ বর্ষণ। সবশেষ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলা পেসার ব্যাট হাতে ২ ছক্কায় ২১ রানের পর বোলিংয়ে নেন ২ উইকেট।
৯ ম্যাচে প্রথম জয় পেলেও তলানিতেই রয়েছে রূপগঞ্জ টাইগার্স। সমান ম্যাচে ৩ জয়ে ৮ নম্বরে ব্রাদার্স।
বোলারদের দাপটের ম্যাচে প্রথম ওভারেই ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন আরাফাত সানি জুনিয়র। পাওয়ার প্লেতে ফেরেন আইচ মোল্লা ও আব্দুল্লাহ আল মামুনও।
চতুর্থ উইকেটে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৩৭ রানের জুটি গড়েন ফরহাদ হোসেন ও শামসুর। ২৫ রান করে আউট হন ফরহাদ।
পরের ব্যাটসম্যানরাও হতাশ করলে ১১০ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলে রূপগঞ্জ টাইগার্স। নবম উইকেটে শামসুর ও বর্ষণ যোগ করেন ৩৬ রান। কোনোমতে দেড়শর কাছাকাছি যায় দল। যা পরে জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়।
রান তাড়ায় প্রথম ওভারে রহমতউল্লাহ আলির উইকেট হারায় ব্রাদার্স। দ্বিতীয় উইকেটে ম্যাচের সর্বোচ্চ ৪৩ রানের জুটি গড়েন ইমতিয়াজ হোসেন ও রাহাতুল ফেরদৌস। দুজনের কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি।
পরের ব্যাটসম্যানরাও হতাশ করেন। কিপার-ব্যাটসম্যান আব্দুল মজিদের ২৮ রানের সৌজন্যে কোনোমতে একশ পার করে ব্রাদার্স। যা পরাজয়ের ব্যবধানই কমায় শুধু।
বাঁহাতি স্পিনে আবু হাশিম নেন ২৬ রানে ৪ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব: ৩৯.১ ওভারে ১৪৯ (আরাফাত ০, আইচ ৫, ফরহাদ ২৫, মামুন ৬, শামসুর ৫৭, সালমান ৭, হাশিম ৭, সোহাগ ১২, গালিব ১, বর্ষণ ২১, নাবিল ১*; আবু জায়েদ ৯-০-৪২-২, রাহাতুল ৮-০-২৬-২, মারাজ ২-০-৬-০, নাঈম ৯-১-৩১-২, মনির ৮.১-০-১৯-৩, জুবায়ের ৩-০-২৪-১)
ব্রাদার্স ইউনিয়ন: (লক্ষ্য ৪৩ ওভারে ১৪৮) ৩৯.২ ওভারে ১১৬ (রহমতউল্লাহ ০, ইমতিয়াজ ২২, রাহাতুল ১৬, মাহমুদুল ১১, মজিদ ২৮, আসিফ ১, মারাজ ১৭, রাহি ৫*, নাঈম ০, জুবায়ের ০, মনির ২; নাবিল ৯-২-১৬-১, আরাফাত ৮-১-২৫-০, সোহাগ ১-০-১০-০, বর্ষণ ৬-১-১৭-২, হাশিম ৮.২-১-২৬-৪, মামুন ৭-০-১৮-২)
ফল: ডাকওয়ার্থ লুইস স্টার্ন পদ্ধতিতে রূপগঞ্জ টাইগার্স ৩১ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: রোহানাত দৌল্লাহ বর্ষণ
পারটেক্সকে হারাল সিটি ক্লাব
বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবকে ২ উইকেটে হারিয়েছে সিটি ক্লাব। ৪২ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ৯ উইকেটে ২০৮ রান করে পারটেক্স। ২১০ রানের নতুন লক্ষ্যে ২ বল বাকি থাকতে জয় পায় সিটি ক্লাব।
অন্য ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার ভিড়ে ৬৬ বলে ৬৯ রানের ইনিংসে পারটেক্সকে দুইশ পার করান তানবীর হায়দার। কিন্তু জয়ের জন্য সেটি যথেষ্ট হয়নি। বাঁহাতি স্পিনে টপ-অর্ডারের ৩ উইকেট নিয়ে সিটি ক্লাবের নায়ক নাইমুর রহমান।
অথচ টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে মুনিম শাহরিয়ারে ব্যাটে দারুণ শুরু করে পারটেক্স। সপ্তম ওভারে পঞ্চাশ করে ফেলে তারা। পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে আসে ৬৯ রান।
ঝড়ো শুরু করেও ইনিংস বড় করতে পারেননি মুনিম। ৫ চার ও ১ ছক্কায় ১৮ বলে ৩২ রান করেন জাতীয় দলের হয়ে ৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা ওপেনার।
মুনিমের বিদায়ের পর থেকেই মূলত পেছাতে থাকে পারটেক্স। আজমির আহমেদ, মিজানুর রহমান, জাহিদুজ্জামান, আহরার আমিনরা হতাশ করলে ১০৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা।
সপ্তম উইকেটে ৭০ রানের জুটি গড়েন তানবীর ও মুক্তার আলি। ৫২ বলে ২৮ রান করে ফেরেন মুক্তার। এরপর দলকে দুইশ পার করান তানবীর। ১০ চারের সঙ্গে ১টি ছক্কা মারেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।
রান তাড়ায় সিটি ক্লাবের কেউই পঞ্চাশ করতে পারেননি। তবে সম্মিলিত অবদানে ধীরে ধীরে জয়ের দিকে এগোতে থাকে তারা। উদ্বোধনী জুটিতে ৪১ রানের পর দ্বিতীয় উইকেটে আসে ৪৮ রান। ২৩তম ওভারে একশ রান করে তারা।
চার নম্বরে নামা আশিকুল আলম একপ্রান্ত আগলে রেখে দলকে এগিয়ে নেন। জয় থেকে ২৭ রান দূরে থাকতে ফেরেন ৪৪ রান করা আশিকুল। এর সঙ্গে মইনুল ইসলাম সোহেল, রাফসান আল মাহমুদ, মইনুল ইসলামদের ছোট ছোট ইনিংসে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে সিটি ক্লাব।
৯ ম্যাচে ২ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের ৯ নম্বরে সিটি ক্লাব। সমান ম্যাচে ১ জয়ে ১২ দলের মধ্যে ১১ নম্বরে পারটেক্স।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব: ৪২ ওভারে ২০৮/৯ (মুনিম ৩২, আজমির ১৮, মিজানুর ২৪, জাহিদুজ্জামান ১০, তানবীর ৬৯, আহরার ১, তোফায়েল ০, মুক্তার ২৮, গাফফার ৬, রাকিবুল ৫*, আসাদুজ্জামান ১*; ইফরান ৮-০-৬০-১, মেহেদি ৬-০-৪৮-২, মইনুল ইসলাম ৯-১-২৯-১, নাইমুর ৮-০-৪৩-৩, রাফসান ৯-১-৪৮-১, আশিকুল ২-০-৬-১)
সিটি ক্লাব: (লক্ষ্য ৪২ ওভারে ২১০) ৪১.৪ ওভারে ২১০/৮ (সাদিকুর ৩৯, হাসানুজ্জামান ২৩, শাহরিয়ার ৩১, আশিকুল ৪৪, সাজ্জাদুল ৯, মইনুল সোহেল ১৭, রাফসান ১৫, মইনুল ইসলাম ১৪*, ইফরান ৪, নাইমুর ৫*; গাফফার ৮-১-৩০-১, রাকিবুল ৮-০-৩৬-৩, তোফায়েল ৫-০-৪১-০, মুক্তার ৮.৪-০-৩৮-০, আজমির ৪-০-২৫-০, আসাদুজ্জামান ৮-০-৩৭-২)
ফল: ডাকওয়ার্থ লুইস স্টার্ন পদ্ধতিতে সিটি ক্লাব ২ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: নাইমুর রহমান