এক জয়েই পয়েন্ট টেবিলে চেহারা একটু ভদ্রস্থ হয়েছে। আশার পালে একটু হাওয়া লেগেছে। সাকিব আল হাসানের ম্রিয়মান হয়ে আসা কণ্ঠেও অবশেষে একটু জোর এসেছে। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে একটু স্বস্তির পরশ পাচ্ছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলার আশাও এখন কিছুটা উজ্জ্বল। অনেক দিন পর পাওয়া এই আত্মবিশ্বাসকে সঙ্গী করে এখন অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর আশায় তিনি।
বিশ্বকাপে টানা ৬ ম্যাচে সহজেই হেরে যাওয়ার পর অবশেষে কাঙ্ক্ষিত জয়ের মুখ দেখেছে বাংলাদেশ। দিল্লিতে সোমবার উত্তাপ ছড়ানো ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে তারা ৩ উইকেটে।
উত্তেজনা ছড়িয়েছে মূলত অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের ‘টাইমড আউট’ ঘিরে। মাঠের ক্রিকেটে বাংলাদেশ যথেষ্টই দাপুটে ছিল রান তাড়ায়। ব্যবধান যদিও বড় নয়, তবে শেষ দিকে দ্রত কিছু উইকেট হারানোর কারণেই এই অবস্থা। এমনিতে সাকিব ও নাজমুল হোসেন শান্তর ১৬৯ রানের জুটি জমে যাওয়ার পর থেকে কখনোই মনে হয়নি হারতে পারে বাংলাদেশ।
২৮০ রান তাড়ায় বাংলাদেশ জিতেছে ৫৩ বল বাকি রেখে। রান রেটে শ্রীলঙ্কা ও নেদারল্যান্ডসকে পেছনে ফেলে তারা উঠে এসেছে সাত নম্বরে।
২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার আশা জিইয়ে রাখতে শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়ও জরুরি। লঙ্কানদের হারানোর বিশ্বাসকে রসদ বানিয়েই শেষ ম্যাচে জয়ের আশা করছেন সাকিব।
“আজকের ম্যাচটা আমাদেরকে বেশ কিছুটা আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। ড্রেসিংরুম একটু হলেও স্থির হবে। কোলাহল একটু হলেও কমবে। যেটা আমাদেরকে আরেকটু ভালো খেলতে সাহায্য করবে। অস্ট্রেলিয়া অবশ্যই ভালো দল। তারা এখন যেভাবে ক্রিকেট খেলছে, (ট্রফির) দাবিদারদের মধ্যে আছে।”
“আমাদের আজকের ম্যাচ ভালো ছিল। আমরা যদি এটা ধরে রাখতে পারি, আমরা হয়তো ভালো একটা ম্যাচ খেলতেও পারি। আমাদের বিশ্বাস আছে। আমাদের এই জয়টাও অনেক সহায়তা করবে। ম্যাচটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জন্য। যদি জিতি, তাহলে মোটামুটি নিশ্চিত থাকব যে আমরা কোয়ালিফাই করব। আমাদের জন্য ‘ডু অর ডাই’ পরিস্থিতি। আমরা চেষ্টা করব সবকিছু দিয়ে ম্যাচটা জেতার।”
আশার কথা অবশ্য সাকিব আগেও বলেছেন বারবার। কিন্তু দলের তখন এতটা দুঃসময় ছিল যে, অধিনায়কের আশার কথাগুলোতেও মিশে ছিল সংশয়। বহুকাঙ্ক্ষিত একটি জয়ের পর এখন দলের শরীরী ভাষা ও মানসিকতা বদলে যাবে বলেই বিশ্বাস তার।
“আত্মবিশ্বাস তো আমাদের দেবেই। আমাদের তো আসলে এখন ম্যাচ জেতা ছাড়া অন্য কিছু চিন্তা করার অপশন নেই। জিততেই হবে এবং সেটার জন্য প্রস্তুত থাকব। অনেক সময় হয় কী, হারতে থাকলে মনের ভেতর থেকে ওই জেদটা, আত্মবিশ্বাসটা আসে না। এই জয়টা ওই জেদ ও আত্মবিশ্বাস দুটোই দেবে, আমরা যে কোনো দলের বিপক্ষে ভালো করতে পারি।”
“আমি বিশ্বাস করি আমাদের দল ভিন্ন অ্যাপ্রোচ নিয়ে খেলবে সামনের ম্যাচে। সর্বোচ্চ চেষ্টা করব ভালো খেলার ও ম্যাচ জেতার।”
দিল্লি থেকে মঙ্গলবারই পুনেতে যাবে দল। সেখানেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ আগামী শনিবার। এই মাঠেই ভারতের বিপক্ষে খেলেছিলেন সাকিবরা।