জশ হেইজেলউডের অফ স্টাম্পে গুড লেংথ ডেলিভারি সোজা কাভারের ফিল্ডার বরাবর খেলেই রানের জন্য ছুটলেন ইব্রাহিম জাদরান। অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন রান আউট থেকে। ওভার থ্রোয়ে আরেক রান নিয়ে পৌঁছে গেলেন ৯৯ থেকে ১০১ রানে। অনন্য কীর্তি গড়ার উচ্ছ্বাসে হেলমেট খুলে ব্যাট উঁচিয়ে ধরলেন গ্যালারির দিকে।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শতক ছোঁয়া ইনিংসে ইব্রাহিম খেলেছেন ১৪৩ বলে অপরাজিত ১২৯ রানের ইনিংস। ৮ চারের সঙ্গে ৩টি ছক্কা মেরেছেন আফগান ওপেনার।
ওয়ানডে বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের কোনো ব্যাটসম্যানের প্রথম সেঞ্চুরি এটি। আগের সর্বোচ্চ ২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে সামিউল্লাহ শেনওয়ারির ৯৬ রান।
এই সংস্করণে 'ক্যারিং দা ব্যাট থ্রু দা ইনিংস' অর্থাৎ আদ্যোপান্ত ব্যাটিং করা প্রথম আফগান ক্রিকেটার তিনি। বিশ্বকাপে সব মিলিয়ে তার আগে এই কীর্তি রয়েছে স্রেফ দুজনের; ১৯৯৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রিডলি জ্যাকবস ও গত আসরে শ্রীলঙ্কার দিমুথ কারুনারাত্নে।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে ৩ রান নিয়ে যাত্রা শুরু করেন ইব্রাহিম। তৃতীয় ওভারে মিচেল স্টার্কের বলে কাভার ড্রাইভে মারেন প্রথম বাউন্ডারি।
অষ্টাদশ ওভারে স্টার্কের বলে ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে পাওয়া বাউন্ডারিতে ফিফটি স্পর্শ করেন আফগান ওপেনার, ৬২ বলে।
ফিফটির পর কিছুটা খোলসে ঢুকে যান ইব্রাহিম। পঞ্চাশ থেকে একশতে যেতে তার লেগে যায় আরও ৬৯ বল। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি তার পঞ্চম সেঞ্চুরি। আফগানদের হয়ে এই সংস্করণে তার চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আছে শুধু মোহাম্মদ শাহজাদ ও রহমানউল্লাহ গুরবাজের। দুজনেরই ৬টি করে।
সেঞ্চুরি ছোঁয়ার পর অ্যাডাম জ্যাম্পার বলে প্রথম ছক্কা মারেন ইব্রাহিম। পরে স্টার্ক ও কামিন্সের বলে একবার করে উড়িয়ে বল পাঠান সীমানার ওপারে।
তার সেঞ্চুরির সৌজন্যে ৫ উইকেটে ২৯১ রান করেছে আফগানিস্তান। বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে এটিই তাদের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর। গত আসরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ২৩ রানে হারা ম্যাচে তারা করেছিল ২৮৮ রান।