ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে অস্ট্রেলিয়া বিপাকে থাকলেও জয়ের বিশ্বাস দলের ভেতর আছে, বললেন ন্যাথান লায়ন।
Published : 10 Mar 2024, 05:13 PM
প্যাড পায়ে চাপিয়ে হাতে ব্যাট ও গ্লাভস নিয়ে তৈরি ছিলেন ন্যাথান লায়ন। যদি ব্যাটিংয়ে নামতে হয়! শেষ পর্যন্ত অবশ্য নাইটওয়াচম্যানকে এ দিন প্রয়োজন হয়নি। ট্রাভিস হেড ও মিচেল মার্শ নির্বিঘ্নে পার করেছেন শেষ সময়টুকু। দিনের শেষটা তাই স্বস্তিতেই করেছে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু লড়াইয়ের শেষ তো এখানেই নয়, পরদিন তাদের অপেক্ষায় কঠিন চ্যালেঞ্জ।
তবে চ্যালেঞ্জ যত কঠিনই হোক, দলে বিশ্বাসের কোনো কমতি নেই বলেই দাবি লায়নের। অভিজ্ঞ এই স্পিনার বললেন, যে কোনো অবস্থা থেকেই জিততে পারার বিশ্বাস দলের ভেতর গেঁথে দিয়েছেন কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড ও অধিনায়ক কামিন্স।
ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের শেষ ইনিংসে ২৭৯ রানের লক্ষ্যে ছুটে ম্যাট হেনরি ও বেন সিয়ার্সের ছোবলে ৩৪ রানে ৪ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। পরে হেড ও মার্শের ৪৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে তারা রোববার দিন শেষ করে ৪ উইকেট ৭৭ রান নিয়ে।
জয়ের জন্য ৬ উইকেট নিয়ে তাদের প্রয়োজন আরও ২০২ রান। ম্যাট হেনরি যেভাবে বোলিং করছেন, তাতে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানদের কাজটা ভীষণ কঠিন। প্রথম ইনিংসে সাত উইকেট শিকারি এই কিউই পেসার দ্বিতীয় ইনিংসেও নিয়ে ফেলেছেন দুই উইকেট।
তবে তৃতীয় দিনে তিন উইকেট নেওয়া লায়ন দিন শেষে বললেন, জয়ের আশা ভালোমতোই আছে তাদের দলে।
“এটা পার করতে পারলে দারুণ এক টেস্ট ম্যাচ জয় হবে। ড্রেসিং রুমে বিশ্বাস অনেক এবং সেটির জন্য কৃতিত্ব দিতে হবে প্যাট (কামিন্স) ও রনকে (ম্যাকডোনাল্ড)। তারা যেভাবে নেতৃত্ব দেয়, দলের তা ভেতর প্রচণ্ড বিশ্বাসের জন্ম দেয়, আমরা যে কোনো অবস্থা থেকে জিততে পারি।”
“এখন আমরা এমন অবস্থায় আছি, আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে বলা চলে। নিউ জিল্যান্ড আজকে দারুণ ছন্দে ছিল। তবে এখানে বসে নিশ্চিত করে বলতে পারি, আমাদের এই উপলব্ধি ও বিশ্বাস আছে যে আমরা জিততে পারি।”
গত জুনে অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে এজবাস্টনে শেষ ইনিংসে ২৮১ রান তাড়ায় দারুণ এক জয় পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সেবার ২২৭ রানে ৮ উইকেট হারানোর পর ৫৫ রানের অবিচ্ছিন্ন ম্যাচ জেতানো জুটি গড়েন কামিন্স ও লায়ন।
২০০৬ সালের পর ২৭৯ বা এর বেশি রান তাড়ায় অস্ট্রেলিয়ার জয়ের নজির আছে আর একটিই। সেটি ছিল কামিন্সের অভিষেক টেস্ট, ২০১১ সালের নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় সেই টেস্টেও ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল তার। সেই ম্যাচে ছিলেন লায়নও।
সেই স্মৃতিগুলোই এখন প্রেরণার ছবি হয়ে ভেসে উঠছে লায়নের সামনে।
“অতীতে কয়েকবার এই ধরনের রান তাড়ায় উতরে গেছি আমরা। আমাদের ব্যাটিং গ্রুপে তাই বিশ্বাসের কমতি নেই এবং আমরা বোলাররাও যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী ব্যাট হাতে। নিজেদের ব্যাটিংয়ে আমরা গর্ব খুজে নেই। প্রয়োজন পড়লে তাই আমরা নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দেব।”